হুগলিতে রচনার কাছে হেরে ভূত লকেট! পরাজয়ের জন্য ‘দায়ী’ কে? এতদিনে বিস্ফোরক মিঠুন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উনিশের লোকসভা নির্বাচনে হুগলিতে পদ্ম ফুটিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। চব্বিশের লোকসভা ভোটেও তাঁর ওপর আস্থা রেখেছিল বিজেপি। তবে এবার আর জয়ের মুখ দেখতে পারেননি পদ্ম নেত্রী। তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ৭৬ হাজারের অধিক ভোটে পরাজিত হন তিনি। এই হারের জন্য ‘দায়ী’ কে? এবার প্রকাশ্যেই জানালেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।

লকেটের হার নিয়ে বিস্ফোরক মিঠুন (Mithun Chakraborty)!

এই মুহূর্তে বিজেপির (BJP) সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। শনিবার সেই কারণে হুগলির পান্ডুয়ায় এসেছিলেন মহাগুরু। জানা যাচ্ছে, হুগলি সাংগঠনিক জেলায় ৩ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল। তবে এখনও অবধি জেলা নেতৃত্ব প্রায় ৫১,০০০ সদস্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। এই তথ্য জানার পর বিজেপি নেতা খানিক অসন্তুষ্ট হন বলে খবর।

মিঠুন (Mithun Chakraborty) এদিন বলেন, ‘আমি বসের (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশে এখানে এসেছি। বসকে কী উত্তর দেব?’ মহাগুরু আরও বলেন, ‘আমাকে ডেকে আনবেন। আমি মুড়ি গুড় খেয়ে প্রচার করব। তার রেজাল্ট হবে জিতে যাওয়া সিট হার! কী লজ্জা! কথা দিয়েছিলাম বলে আমি এসেছি। না হলে পার্টিকে সময় দিয়ে কী লাভ! প্রধানমন্ত্রীকে আমি কথা দিয়েছি… আমার বিশ্বাস পার্টি শক্তিশালী হলে সব হবে। বস আমায় বলে রেখেছেন, নো মার্সি! যারা কাজ করবে না, তাঁদেরকে সরে যেতে হবে’।

আরও পড়ুনঃ ‘৪২,০০০ কোটি টাকা..,’ সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার শুনানির আগেই সামনে এল বড় আপডেট

এরপরেই হুগলিতে (Hooghly) লকেটের হারের কারণ হিসেবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ‘দায়ী’ করেন মিঠুন। জানা যাচ্ছে, এদিন তাঁর কাছে দলীয় কর্মীরাও দলে সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগ করেছেন। এই মুহূর্তে মাত্র ১০% কর্মী সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। পরে এই নিয়ে মুখ খোলেন প্রবীণ নেতা।

Mithun Chakraborty

মিঠুন বলেন, ‘আগে সব ভুয়ো মেম্বারশিপ হতো। এখন যেগুলো হচ্ছে, সেগুলো সঠিক। আমি এখানে যতগুলো বিধানসভা দেখেছি, সবগুলোতেই জেতা আছে। তবে আমরা জিততে পারিনি, এটার একমাত্র কারণ হল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যেটা ভীষণ দুঃখের বিষয়। সবাই যদি কাজ করতো, তাহলে লকেটকে পরাজিত হতে হতো না। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করেছে’।

মিঠুনের (Mithun Chakraborty) মুখে লকেটের পরাজয়ের কারণ হিসেবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উঠে এলেও তা মানতে চাননি হুগলি জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার। তিনি বলেন, হয়তো কয়েকজন নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তবে প্রত্যেকে দলের কথা ভেবে লড়াই করেছেন। তুষারবাবুর দাবি, ‘যদি সমন্বয় না থাকতো, তাহলে আমাদের ৫১,০০০ সদস্য হতো না। আগে খাতায় লিখে, মিসকল দিয়ে সদস্য হতো। তবে এখন মোবাইলে রেজিস্টার করাতে হচ্ছে বলে প্রযুক্তিগত কিছু অসুবিধা হচ্ছে’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর