বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের আজান বিতর্কে অগ্নিগর্ভ কর্ণাটক (Karnataka)। কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকের বিজেপি (BJP) বিধায়ক কেএস এশয়ারাপ্পা (KS Eshwarappa) মন্তব্য করেন, আল্লা হয়তো বধির। সেই কারণেই মসজিদে লাউডস্পিকার লাগিয়ে আজান দেওয়া হয়! গেরুয়া নেতার এই বিতর্কিত মন্তব্যে বিক্ষুব্ধ হন কর্ণাটকের (Karnataka) শিবামোগ্গা জেলার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁরা এর প্রতিবাদে জেলাশাসকের দফতরের সামনে দাঁড়িয়েই আজান দিতে শুরু করেন। এরই সঙ্গে এশয়ারাপ্পার মন্তব্যের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন।
ভাইরাল হয়েছে এই ঘটনার একটি ভিডিও। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একদল যুবক জেলাশাসকের দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে আজান দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, একইভাবে বিক্ষোভ দেখানো হবে বিধান সৌধের সামনেও। তাঁদেরই মধ্যে এক প্রতিবাদী যুবক বলেন, ‘এশয়ারাপ্পা যদি আমাদের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতেন, তাও মেনে নিতাম। কিন্তু উনি আল্লা এবং আজান নিয়ে মন্তব্য করেছেন। প্রয়োজনে আমরা বিধান সৌধের সামনে আজান দেব। আমরা ভিতু নই। এই বিষয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের সকলের একজোট হওয়া উচিত।”
সূত্রে খবর, এই ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। শিবামোগ্গার এসপি বলেন, ‘যুবকদের বোঝানো হয়েছে এই কাজ যেন আর না করেন। তদন্ত হচ্ছে। সন্দেহজনক কিছু পেলে পুলিস উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’
এই ঘটনায় জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী ( HD Kumaraswamy) নিশানা করেছেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, ‘সংবেদনশীল বিষয়ে লাগামছাড়া মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য বিজেপিই) দায়ী।’ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করায় গেরুয়া নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন কুমারস্বামী।
সম্প্রতি, প্রাক্তন মন্ত্রী কে এস এশয়ারাপ্পা (KS Eshwarappa) মসজিদের কাছে এক জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। তখনই লাউডস্পিকার থেকে ভেসে আসে আজানের শব্দ। এর প্রতিক্রিয়াতে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘আমি যেখানেই যাই, এই আজানের জন্য মাথাব্যথা হয়। আল্লা কি বধির? মন্দিরে মহিলারা প্রার্থনা করে, ভজন করে। আমরাও ধর্ম মানি। কিন্তু তার জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহার করতে হয় না।’