বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজিব কুমার ইস্যু নিয়ে দিন দিন আরো জলঘোলা হচ্ছে। আর এই বিষয়কে আধার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কটাক্ষ করতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর মতো নেতারা রাজীব কুমার খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনার আবার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে রাজীব কুমারের প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, “রাজীব কুমার হয়তো মমতা ব্যানার্জির বাড়িতে লুকিয়ে আছেন। অথবা রাজীব কুমারকে হত্যা করেছেন মমতা ব্যানার্জি।”
গতকাল খণ্ডঘোষের বেরুগ্রামে BJP-র সভা ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌমিত্র খাঁ। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে রাজীব কুমার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উনি হয়তো মমতা ব্যানার্জির বাড়িতেই লুকিয়ে আছেন। মমতা ব্যানার্জির বাড়ি রেইড করতে হবে। অথবা এটাও হতে পারে যে রাজীব কুমারকে হত্যা করেছেন মমতা ব্যানার্জি। মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জি যে রাজীব কুমারকে হত্যা করেননি তার কী প্রমাণ আছে ? CBI এখানে-ওখানে ঘুরলে হবে না।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে এই প্রসঙ্গে সোমেন মিত্র বলেন, ‘ রাজ্য সরকারের বহু প্রভাবশালী নেতারা এই সারদা মামলায় দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। এমনকি রাজীব কুমারকে বাঁচাতে ধর্মতলা ধরনায় বসেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যদি ধরা পড়েন তাহলে দলের অনেক তাবড় তাবড় নেতা মন্ত্রীদের রাজনৈতিক জীবনই শেষ হয়ে যাবে এবং শুধু তাই নয় সরকারের অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেবে। এখন সিবিআই যেভাবে এগোচ্ছে তাতে ওকে মেরে ফেলা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। সেই জন্যই আমাদের ভয় হচ্ছে, ওকে মেরে না দেয়।’
প্রসঙ্গত, রাজীব কুমারের খোঁজ না পাওয়া গেলেও আড়ালে-আবডালে থেকেই পুলিশি গ্রেফতারি এড়ানোর চেষ্টা করে চলেছেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। রাজীবের আইনজীবী শুক্রবার আলিপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান। সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে সেকথা জানিয়েও আসেন।
আলিপুর আদালত রায় দিয়ে জানিয়েছে, রাজীবের বিরুদ্ধে তার করা অপরাধের যথেষ্ট সাক্ষী প্রমাণ রয়েছে। তাই এখন কোনো পরোয়ানা ছাড়াই, সিবিআই নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে, তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে, এ ব্যাপারে কোনো রকম কেউ নাক গলাতে পারবেন না।