বাংলাহান্ট ডেস্ক: পেগাসাস (Pegasus) বিতর্কে এক সময় উত্তাল ছিল দেশ। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, বিরোধী পক্ষের একাধিক নেতা-নেত্রীর ফোন ট্যাপিংয়ের (Phone tapping)। যা নিয়ে সরকারের কড়া সমালোচনায় সরব হয়েছিল সব বিরোধী দল। প্রশ্ন উঠেছিল, যদি নেতা-নেত্রীদের ফোন ট্যাপিং হয়, তাহলে সাধারণ নাগরিকরা কি আদৌ নিরাপদে রয়েছেন? নাকি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনেও আড়ি পাতছে সরকার? সেই বিতর্ক ফের একবার সামনে এল। এ বার এটি উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy)।
এই প্রসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভালকে (Ajit Doval) তাঁর পদ থেকে সরানোর তুললেন তিনি। এই বিজেপি নেতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) যেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে অজিত ডোভালকে সরিয়ে দেন। টুইট করে জানিয়েছেন, পেগাসাস ফোন ট্যাপিংয়ের মতো একাধিক ‘ভুল’ করেছেন অজিত। তাই তাঁকে অবিলম্বে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।
Modi must sack Doval from his NSA post. He has goofed too many times such as Pegasus telephone tapping and including one more horrible one to come from Washington DC. Otherwise by mid 2023, Modi too may have to quit.
— Subramanian Swamy (@Swamy39) February 14, 2023
এটি না করলে ২০২৩-এর মাঝে প্রধানমন্ত্রী মোদীরও পদত্যাগের দাবি তুললেন তিনি। মঙ্গলবার টুইট করে অজিত ডোভালকে বরখাস্তের দাবি তোলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। একইসঙ্গে এটি না করলে প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগের দাবি তোলেন তিনি। শীর্ষস্তরের একজন বিজেপি (BJP) নেতার এমন প্রতিক্রিয়াতে স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি দলের অন্দরে কোনও কলহ চলছে?
এর আগেও আদানি গ্রুপের (Adani Group) বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের (Hindenburg Research) রিপোর্ট এবং বিতর্ক প্রসঙ্গেও প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন এই বিজেপি নেতা। সে সময়ে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আদানি গ্রুপের সম্পত্তির রাষ্ট্রীয়করণের দাবি তোলেন। তখন আবার প্রশ্ন ওঠে, আদানির সঙ্গে কংগ্রেসের (INC) কি কোনও চুক্তি হয়নি? এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, তিনি কংগ্রেসের অনেককেই চেনেন যাঁরা আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। কিন্তু তিনি বিজেপির স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা নিয়ে বেশি আগ্রহী।
সেই সময়ে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেছিলেন, আর্থিক লেনদেন নিয়ে একটি রিপোর্ট আসার কারণে আদানি গ্রুপ ধাক্কা খেয়েছে। বাজারে শেয়ারের দাম পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আদানি গ্রুপের সঙ্গী হয়েছে বিতর্ক। একইসঙ্গে তিনি জানান, সংসদেও এই বিষয়টি তুলে ধরেছে বিরোধী দলগুলি। পাশাপাশি তিনি এ বছরের বাজেট (Union Budget) নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই বাজেট উদ্দেশ্য বা কৌশলের অভাব রয়েছে বলে মনে করেন এই বিজেপি নেতা। সামরিক খাতে কম অর্থ বরাদ্দ করাকে ভাল ভাবে নেননি তিনি।