গণেশ পুজোয় হাতে হাত শুভেন্দু-কৌস্তভের, লোকসভা ভোটের আগে বড় জল্পনা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : জল্পনা শুরু হয়েছিল পুজোর আগেই। সেই জল্পনা আরও কিছুটা জোরালো হলে সরস্বতী পুজোর আগে। কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী (Kaustuv Bagchi) কি যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে (Bhartiya Janta Party)? জল্পনায় ঘি ঢাললো কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীর বাড়ির পুজোয় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) উপস্থিতি। গণেশ পুজোর দিন এই বিশিষ্ট আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতার বাড়ির গণেশ পুজোয় অতিথি হয়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা।

বিজেপির সাথে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর দহরম মহরম আজকের নতুন নয়। গত বছরই এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায় না।’ একাধিকবার তাদের দুজনকে একসাথে ফ্রেমবন্দি করেছে মিডিয়ার ক্যামেরা। বহুবার মঞ্চও শেয়ার করেছেন তারা।

ভরা মঞ্চেই সৌজন্য সাক্ষাৎ, গল্প আড্ডা সবই চলে তাদের মধ্যে। এর পেছনে কি লুকিয়ে রয়েছে কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ? এই প্রশ্ন বহুদিনের। বিশেষ করে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে আইনজীবীর বাড়ির পুজোয় শুভেন্দুর শামিল হওয়াকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশ।

আরও পড়ুন : কৃষক আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার, ‘এভাবে দেশ এগোবেনা’, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মমতা

এইদিন পুজোর বিভিন্ন মুহুর্ত ক্যাপচার করে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা। আর তারপর থেকেই ফের একবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে দলবদলের জল্পনা। তাছাড়া বিগত কয়েকদিন ধরে তিনি যেভাবে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের কাজকর্মের সমালোচনা করতে শুরু করেছেন তাতে কৌস্তভ বিজেপি জয়েন করলে খুব একটা আশ্চর্যের হবেনা।

আরও পড়ুন : লাহোরে গিয়ে পাকিস্তানের প্রশংসা, সম্পর্কের অবনতির জন্য মোদীকেই দুষলেন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর

fb img 1707836939430

দিনকয়েক আগেই একবার কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে কৌস্তভ বলেছিলেন, রাহুল গান্ধীর কাছে মানুষ উন্নয়নের কথা শুনতে চায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্ণনা শুনতে চায়না। এমনকি মানুষ এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ন্যায়ের কথা শুনতে চাইছে। আসলে প্রদেশ কংগ্রেস বারবার সুর চড়ালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্তুতি জারি রেখেছে দলের হাইকম্যান্ড। আর তাতে যে কৌস্তভ বেশ বিরক্ত তা বেশ স্পষ্ট। এখন তিনি কি সত্যিই বিজেপিতে যোগ দেবেন? এই উত্তর তো সময়ই দেবে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর