বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে শুরু করে বাংলার (West Bengal) আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বারবার রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারের দাবিতে আরও একবার সরব হলেন শুভেন্দু।
যার জন্য এবার তিনি বাংলার সাংবিধানিক প্রধানের দ্বারস্থ হবেন, যাতে রাজ্যপাল কেন্দ্রের কাছে বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারি করার জন্য সুপারিশ করেন। রাজ্যের হাত থেকে পুলিশের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়ার দাবিতে এদিন সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। এ প্রসঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় অন ক্যামেরা সাংবাদিকদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘রাজ্যপালকে বলব, আগামিকাল ফিরে এসে যেন তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে লেখেন পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫ ধারা জারি করার জন্য।’
শুভেন্দু এদিন দাবি করেছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত রাজ্য সরকারের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা যেমন আছে তেমনই থাকতে দেওয়া হোক। কিন্তু পুলিশি ব্যবস্থার যে দায়িত্ব রাজ্যের হাতে রয়েছে, সেটা যেন কেড়ে নেওয়া হয়। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ২০২১ সালে ভোটে জিতেছেন। ২০২৬ সালে আবার ভোট আছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে দেওয়া হোক। তাঁর অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতায় হাত দেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে পুলিশি ব্যবস্থা কেড়ে নেওয়া হোক’।
আরও পড়ুন: কলেজ পাশ করলেই বিরাট সুযোগ! ৬,০০০-এর বেশি পদে কর্মী নিয়োগ, এই ভাবে করুন আবেদন
সেইসাথে এদিন বিরোধী দলনেতার যার সংযোজন,’এবার সময় এসে গিয়েছে। ৩৫৫ ধারার সুপারিশ করে, মণিপুরের মতো উপদ্রুত ঘোষণা করে, সমস্ত থানাগুলিকে নিয়ে নেওয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার পরামর্শদাতা নিয়োগ করে দেওয়া উচিত।’
শুভেন্দুর মতো একই সুর, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের গলাতেও। এদিন দিল্লি থেকেই ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপাল বলেছেন, ‘বাংলার রাস্তায় রক্তস্নান চলছে। বাংলার গ্রাম-গঞ্জে রাস্তায় মরণ নাচন চলছে।’ তিনিও এদিন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে পাল্টা জবাবে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেছেন, ‘বিজেপির তল্পিবাহক’।