বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতের কোটি কোটি হিন্দুর অপেক্ষার অবসান ঘটেছে গতকাল। নতুন মন্দিরে প্রাণ পেয়েছে রামলালার বিগ্রহ। গতকাল অর্থাৎ সোমবার দিনভর উৎসবে মেতেছিল অযোধ্যা (Ayodhya) নগরী। সন্ধ্যা নামতেই গোটা ভারত জুড়ে শুরু হয় অকাল দীপাবলি। এসবের মাঝেই তুঙ্গে উঠেছে মমতা-শুভেন্দুর বাগযুদ্ধ।
বেশ কড়া ভাষাতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করে কাঙালিনী, ভিখারিনী বলে তাচ্ছিল্য করেছেন তিনি। সেই সাথে আশঙ্কা প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘এই সুর্পনখা ক্ষমতায় থাকলে ২০৩১ সালের পরে আর আমরা গঙ্গা আরতি করতে পারব না।’ সুর চড়িয়ে বিজেপি নেতার প্রশ্ন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে নিয়ে ঘাঁটছেন কেন?
রাম মন্দির উদ্বোধন প্রসঙ্গে উড়িষ্যা থেকে শুরু করে হিমাচল প্রদেশের উদাহরণ টেনে এনে তিনি বলেন, এগুলি অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য হলেও এখানকার সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। শুভেন্দুর কথায়, বাংলার সরকার কেবল নিজের ভোটব্যাঙ্ক গোছানোর জন্য বিরোধীতা করছেন। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘যে ভাষায় কথা বলেছেন আজকে তাতে এইরকম দাঙ্গাবাজ মুখ্যমন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, ভোট কাঙালিনী, ভোট ভিখারিনী খুঁজে পাবেন না’।
পাশাপাশি শুভেন্দুর দাবি, বাংলার হিন্দু সহ একাধিক সম্প্রদায়ের মানুষ মমতার সংহতি যাত্রার বিরোধীতা করেছেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাব হিন্দুদের, তারা উপেক্ষা করেছেন। জৈন, শিখ, পার্শি তারা উপেক্ষা করেছেন। এমনকী বাঙালি মুসলিমরা অধিকাংশই যাননি। কিছু তালিবান সমর্থকরা গেছেন। যারা মোমিনপুর – ইকবালপুরে ২২ সালে লক্ষ্মীপুজোর দিন লক্ষ্মী ঠাকুরকে পুজো করতে দেননি। যারা গেছেন, তারা CAAকে NRC-র নাম করে সেভেন পয়েন্টকে আটকে রেখেছিলেন ২ মাসের মতো আটকে রেখেছিলেন শাহিন বাগের মত।’
এইদিন এখানেই থেমে থাকেননি শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার ভয়াবহ ভবিষ্যতের আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এই বাংলাকে ভোটের জন্য, চুরি করার লাইসেন্সের জন্য, মমতা আর তার চোর ভাইপো যে কাণ্ড করছেন রাম মন্দিরকে নিয়ে, এটা অত্যন্ত উদ্বেগের। এখনও যদি বাংলার সনাতনীরা, রাষ্ট্রবাদী মুসলিমরা এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে না ঐক্যবদ্ধ হন, আগামীদিনে চণ্ডালিনী, সুর্পনখা যদি থাকে তাহলে ২০৩১ সালের পর আমরা এখানে বসে গঙ্গা আরতিও করতে পারব না।’