বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল (Trinamool Congress) বনাম শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সংঘাত আকসার বর্তমান। গতকালই বাসে চেপে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে শাসকদল। আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর রাজধানীর বুকে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচী। আপাতত সেই নিয়ে সরগরম রাজনীতি। এরই মধ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে।
গতকাল এই দিল্লি ধরনা অভিযান নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে দলের সাংসদ, বিধায়ক নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়েই সংবাদ মাধ্যম তরফে বিরোধী দলনেতার কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে ঝাঁঝালো মন্তব্য করেন শুভেন্দু।
কারও নাম না নিয়েই তিনি বলেন, “কর্মচারীরা মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন, তাতে আমার কী? ৬৫-৭০ বছরের প্রবীণ নেতারা ওই ৩৩-৩৪ বছরের ছেলের পায়ে হাত দিয়ে নমস্কার করেন। ঢুকলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান সুদীপ, সৌগতরা। এটা কোনও রাজনৈতিক দল নাকি!” প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর।
আরও পড়ুন: আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস! দুই বঙ্গের কোন কোন জেলায় জারি সতর্কতা?
তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ” আমি ভেতর থেকে ওই দলটাকে দেখেছি। ওটা কোনও রাজনৈতিক দলই নয় সব ল্যাম্প পোস্ট, খালি হ্যাঁ দিদি, না দিদি বলে চলেন।”
আরও পড়ুন: বাড়ছে পুজোর ছুটি? কবে থেকে শুরু? কতদিন পর্যন্ত? রইল শিক্ষা দপ্তরের অফিসিয়াল ছুটির তালিকা
শুভেন্দুর কথায় সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বর্ষীয়ান নেতারা নিজেদের থেকে অনেক কম বয়সি একজন নেতার পায়ে হাত দিয়ে নমস্কার করেন। ওই কম বয়সের নেতাকে দেখলে সন্মান দেখাতে চেয়ার ছেড়েও উঠে দাঁড়ান। শনিবার নিজের কথায় কারও নাম উল্লেখ না করলেও শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পরই জোড় চৰ্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।