বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য। কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর। আগেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের রাজ্যের দুই মন্ত্রীর নাম উঠে এল সামনে! যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের হেভিওয়েট দুই মন্ত্রী যুক্ত আছে বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার নিশানায় অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas) এবং পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick)।
সম্প্রতি জিটিএ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (GTA Teacher Recruitment Scam) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার দিল্লি যাওয়ার পথে এই নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। জোর গলায় বিরোধী দলনেতা বলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রীও এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।
জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে একজন সরকারি আধিকারিক হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে চিঠি দিয়েছেন। এর ভিত্তিতেই সিবিআইকে প্রাথমিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল রিপোর্ট জমা করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। একইদিনে জিটিএ-কেও (GTA) একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
যাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের যোগ্যতা কী? কীভাবে চাকরি পেয়েছেন? কার সুপারিশে পেয়েছেন? সবকিছু হলফনামার আকারে রিপোর্ট করে জমা দিতে হবে জিটিএ-কে। হাই কোর্টের এই নির্দেশের পরেই শুভেন্দু দাবি করেন, পাহাড়ের এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং পার্থ ভৌমিক যুক্ত।
একইসঙ্গে পাহাড়ের দুই নেতা বিনয় তামাং এবং অনিত থাপাও জড়িত বলে দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, পাহাড় নিয়োগ দুর্নীতির টাকা অরূপের মাধ্যমেই কলকাতায় এসেছে। বিরোধী দলনেতার এই বিস্ফোরক দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা।
আরও পড়ুন: ‘আরও অভিজিৎ অপেক্ষা করেছেন, BJP-তে যোগ দেবেন…’, কুণালের নিশানায় প্রধান বিচারপতি?
উল্লেখ্য, জাস্টিস বসুকে লেখা চিঠিকে সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিক দাবি করেছেন, পাহাড়ে দুই দফায় স্কুল শিক্ষক এবং পুরসভায় প্রায় ৭০০ কর্মীকে বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে। সেই চিঠিতে পার্থ ভৌমিক, পাহাড়ের তৃণমূল নেতা বিনয় তামাং, রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের এক যুব নেতার নাম রয়েছে বলে খবর।
যদিও তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব এই সকল দাবি অস্বীকার করেছেন। ভোট এসে গিয়েছে, সেই কারণে এমন দাবি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতির এই মামলার জল কতদূর অবধি গড়ায় সেদিকেই এখন নজর সকলের।