বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপির যুবনেতা (BJP Leader) গ্রেফতারির ঘটনায় ধুন্ধুমার। বিজেপির এক যুব নেতাকে মিথ্যা অভিযোগে, মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে ‘গ্রেফতার’ করা হয়েছে! এই অভিযোগ তুলে শনিবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) মারিশদা থানায় গিয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশকে হুমকি এবং ধমক দিতেও দেখা গেল বিরোধী দলনেতাকে।
BJP নেতার গ্রেফতারিতে ধুন্ধুমার
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ খেজুরি থেকে বিজেপির যুব নেতা তথা বাঁশগোড়া মণ্ডল কমিটির সম্পাদক রবীন মান্নাকে সাদা পোশাকে গ্রেফতার করে মারিশদা থানার পুলিশ। দলীয় কর্মীদের থেকে এই খবর পেয়েই রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারিশদা থানায় পৌঁছন শুভেন্দু। নেতার সাথেই ছিলেন রথীন মান্নার বাড়ির লোকজন এবং দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
‘অ্যারেস্ট মেমো’ চাইলেই শুরু বচসা
থানায় গিয়ে প্রথমেই কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারের কাছে রবীন মান্নাকে গ্রেফতারির ‘অ্যারেস্ট মেমো’ দেখতে চান শুভেন্দু। তবে পুলিশ তা দেখাতে না পারায় রাগে ফেটে পড়েন শুভেন্দু। গ্রেফতারির এত ঘণ্টা পরও কেন অ্যারেস্ট মেমো নেই সেই প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। এরপরই পুলিশ কর্মীদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন নেতা।
আরও পড়ুন: মারাত্মক! এবার ১০০ কোটি টাকা চুরির অভিযোগ মমতার বিরুদ্ধে! ‘প্রমাণ’ সমেত ED-র দ্বারস্থ শুভেন্দু
ক্ষুব্ধ শুভেন্দু
শুভেন্দুর অভিযোগ ৫ ঘণ্টা ওই যুবনেতা নিখোঁজ ছিলেন। পরে জানা যায় ওই থানায় রাখা হয়েছে রথীনকে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে রীতিমতো ধমকের সুরে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ ও আইনের বিভিন্ন ধারার উল্লেখ করেন শুভেন্দু। বিজেপি নেতার গ্রেফতারিকে সম্পূর্ণ ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।
এখানেই শেষ নয়, এরপরেই ওই গ্রেফতার হওয়া বিজেপির নেতার স্ত্রীকে দিয়ে ডিউটি অফিসার এবং ওসির বিরুদ্ধে মামলা করানোর হুমকিও দেন শুভেন্দু। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমি ওর স্ত্রীকে দিয়ে এখনই কিডন্যাপের অভিযোগ দায়ের করাব।” রাত ১১ টা পর্যন্ত অ্যারেস্ট মেমোর দাবিতে বসে থেকে পরে দীর্ঘক্ষণ থানার বাইরে বসে থাকলেও শেষ পর্যন্ত রাত ১১টা নাগাদ থানা থেকে বেরিয়ে যান শুভেন্দু।