বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন না তৃণমূল সাংসদ মহুয়া! সুর চড়ালেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি! BJP নেতার পোস্টে তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ! ২০১৬ সালে ৫০০ বর্গফুটের একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। সেই বছরেরই আগস্ট মাসে ঘরভাড়ার জন্য চুক্তিপত্র হয়। তবে ওই ঘরের জন্য তৃণমূল সাংসদ ভাড়া দেননি বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি (BJP) নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি (Tarunjyoti Tewari)। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি একহাতও নিয়েছেন তিনি।

মহুয়ার বাড়িভাড়া কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক তরুণজ্যোতি (Tarunjyoti Tewari)!

মঙ্গলবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন বিজেপি নেতা। সেখানে লেখা, ‘২০১৬ সালে করিমপুরে অধীর পালের থেকে ৫০০ স্কোয়্যার ফুটের একটি সম্পত্তি নিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। বহু আগেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর থেকে মহুয়া সেই সম্পত্তিও ছাড়েননি এবং ভাড়াও দেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীর থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন অধীর। কিন্তু তাঁরা ওনার বক্তব্যকে পাত্তা দেননি’।


তরুণজ্যোতির (Tarunjyoti Tewari) দাবি, মঙ্গলবার অধীরকে কয়েক ঘণ্টার জন্য আটক করেন করিমপুরের আইসি। বিজেপি নেতা লিখেছেন, ‘আমি করিমপুর আইসিকে ফোন করেছিলাম । উনি দাবি করেন, শৌচাগারে রয়েছেন এবং কথা দিয়েছিলেন ফোন করবেন। ৪০ মিনিট পর, উনি আমার ফোন ধরছেন না। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তৃণমূল নেতাকের মাইনে দেওয়া চাকরের মতো ব্যবহার করছে। ওনাদের নতুন কাজ?’

আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কাউন্সিলরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড! সাজা ঘোষণা করল আদালত! কোন মামলায়?

সরাসরি রাজ্য পুলিশকে (West Bengal Police) ট্যাগ করে তরুণজ্যোতি লিখেছেন, ‘নির্লজ্জ হওয়া বন্ধ করুন এবং নিজেদের ভূমিকা ভুলবেন না পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। যত দ্রুত সম্ভব ওই ব্যক্তিকে ছাড়া হোক’। নিজের পোস্টের সঙ্গে মমতা ও সুব্রতকে লেখা ওই ব্যক্তির চিঠির ছবিও শেয়ার করেছেন বিজেপি নেতা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল।

Tarunjyoti Tewari

এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং কুৎসার অভিযোগ তুলে অধীরের বিরুদ্ধে নদিয়ার করিমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রাথমিক প্রমাণও মিলেছে। সেই কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, মহুয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, করিমপুরের আনন্দপল্লি সিনেমাহল পাড়ায় যে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন তার মালিক হলেন মিতা মণ্ডল বিশ্বাস। তাঁর স্বামীর নাম অনুপকুমার বিশ্বাস। তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৬ সালে অভিযুক্ত অধীর পালের থেকে ওই বাড়িটি কেনেন মিতা। সেই বছরই মহুয়া এবং মিতার বাড়িভাড়ার চুক্তি হয়। ব্যাঙ্ক লেনদেনের মাধ্যমে বাড়ি ভাড়া মিটিয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ। মিতা জানিয়েছেন, কোনও মাসের ভাড়া বাকি নেই এবং মহুয়ার সঙ্গে এখনও বাড়িভাড়া সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে। এই ইস্যুতেই সুর চড়িয়েছেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি (Tarunjyoti Tewari)। রাজ্য পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর