গ্রেফতার হতে পারেন রাহুল গান্ধী? দোষী প্রমাণিত হলে ১০ বছর জেল! তোলপাড় দেশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ চত্বর। নজিরবিহীনভাবে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস ও বিজেপি (BJP) সাংসদরা। ইতিমধ্যেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পদ্ম শিবির। এবার এই নিয়েই সামনে আসছে বড় খবর!

গ্রেফতার হতে পারেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)?

এদিন সংসদ চত্বরে হাতাহাতির ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। বিরোধী দলনেতার ধাক্কায় দু’জন সাংসদ চোট পেয়েছেন বলে খবর। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হতেই মাথাচাড়া দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন। কংগ্রেস (Congress) নেতা কি গ্রেফতার হবেন? যদি দোষী প্রমাণিত হন তাহলে কত বছরের শাস্তি হতে পারে? ইতিমধ্যেই এসব নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

রিপোর্ট বলছে, রাহুলকে (Rahul Gandhi) গ্রেফতারের ক্ষেত্রে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের অনুমতি দরকার। যদি এমন ধারণা তৈরি হয় যে এর ফলে শান্তি নষ্ট হতে পারে অথবা দাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেক্ষেত্রে পুলিশ রাহুলকে গ্রেফতার করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ ডাক্তারদের বিক্ষোভ-অবস্থানে বাধা নেই! শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়ে হাইকোর্ট বলল…

এদিকে মনে করা হচ্ছে, লোকসভার (Lok Sabha) বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৮৯ (৫) ধারার অধীন মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ চোট আঘাতের ক্ষেত্রে ১১৫ (২) ও গুরুতর আঘাতের ক্ষেত্রে ১১৭ (২) ধারা যুক্ত করা হয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই দোষী প্রমাণিত হলে সর্বাধিক শাস্তি ৭ বছরের। এদিকে বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর আবার জানিয়েছেন, ১০৯, ১২৫ এবং ১৩১ ধারায় রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Rahul Gandhi

এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, অনুরাগ যে ১০৯ ধারার কথা বলেছেন, সেটি খুনের চেষ্টার অভিযোগ। এই ধারার ক্ষেত্রে আবার সর্বাধিক শাস্তি হল ১০ বছর। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই সংসদে হাতাহাতি কাণ্ডের প্রেক্ষিতে স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সেখানে দাবি করেছেন, এদিন রাহুলকে লোকসভায় প্রবেশ করতে বাধা দেন পদ্ম সাংসদরা। কংগ্রেস নেতাকে ধাক্কাও দেওয়া হয়। এর ফলে তিনি পড়ে গিয়ে চোটগ্রস্ত হাঁটুতে ফের আঘাত পান। রাহুলের গলাতেও শোনা গিয়েছে একই সুর।

পরবর্তীতে সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল (Rahul Gandhi) দাবি করেন, ‘শুরু থেকেই আদানি ইস্যু তুলতে না দেওয়া ওদের লক্ষ্য ছিল। প্রথম কিছুদিন অধিবেশন চলতে দিন না। ওদের মানসিকতা সংবিধান, গণতন্ত্র, আম্বেদকর বিরোধী… কিন্তু এদিন সব ছাপিয়ে গিয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের সামনে লাঠি হাতে চলে এল। এখনও আসল লক্ষ্য আদানিকে বাঁচানো’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর