বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে চাকরি বাতিল (SSC Recruitment Scam), অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ কাণ্ড (Murshidabad Violence), দুই ইস্যুতে সরগরম বাংলা। এই নিয়ে শাসক শিবিরকে মুহুর্মুহু আক্রমণ করছে বিরোধীরা। এই আবহে এবার প্রত্যেকের হাতে যন্ত্র রাখার নিদান দিলেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর আবার দাবি, চাকরি বিক্রিতে অভিযুক্তদের জলবিছুটি দিয়ে চাবুক মারতে হবে।
ভরা মঞ্চে বিস্ফোরক বিজেপির (BJP) নেতা-বিধায়করা!
চাকরি বাতিল ও মুর্শিদাবাদ অশান্তির ইস্যুতে শুক্রবার বাঁকুড়ার ওন্দায় একটি মহামিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচি থেকেই ওন্দার স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা চাকরি চুরির ক্ষেত্রে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের ঘাড় ধরে টাকা আদায় করার নিদান দেন। গতকালের পর এদিনও মিছিলের আয়োজন করা হয়।
বাঁকুড়ার মাচানতলায় একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফুঁসে ওঠেন পদ্ম বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) চাকরিহারাদের উদ্দেশে বাঁকুড়ার বিধায়ক তিনি বলেন, ‘আপনারা পথে নামুন। আমায় ডাকবেন। যে যে টাকা নিয়েছে তাঁদের সবার জামার কলার ধরে এই মাচানতলায় নিয়ে এসে আছাড় দিয়ে মারতে হবে’।
আরও পড়ুনঃ সুবিধা বাড়ল সরকারি কর্মীদের! এবার জারি করা হল নয়া নির্দেশিকা
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীও এদিন বক্তব্য রাখার সময় গর্জে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘চাকরির জন্য কে কে টাকা নিয়েছে আমাদের গোপনে তাঁদের নাম জানান। এই মাচানতলায় তাঁদের নিয়ে এসে প্রকাশ্যে জামাকাপড় খুলে জলবিছুটি দিয়ে চাবুক মারতে হবে’।
এরপর মুর্শিদাবাদ কাণ্ডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর বলেন, ‘আত্মরক্ষার জন্য প্রত্যেকে হাতে যন্ত্র রাখুন’। বাঁকুড়ার বিজেপি জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আবার বলেন, গণতন্ত্রের চাকুতে শান দিয়ে রাখুন।
‘যন্ত্র’ বলতে বিজেপি বিধায়ক ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন সেটা পরিষ্কার করেননি। তবে বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রের চাকু বলতে তিনি জনসাধারণের ভোটাধিকার ক্ষমতাকে বোঝাতে চেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের এই সুর চড়ানো নিয়ে পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, বিজেপি যত জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে, ততই এভাবে উন্মাদের মতো প্রলাপ বকছে। এসব কথার কোনও গুরুত্ব নেই বলে দাবি শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের।
উল্লেখ্য, চাকরি বাতিল, মুর্শিদাবাদ কাণ্ড নিয়ে বর্তমানে উত্তাল বাংলা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এবার এই দুই ইস্যুতে আয়োজিত সভা থেকেই রাজ্যের শাসকদলকে ফের একবার আক্রমণ করলেন বিজেপির (BJP) নেতা, বিধায়করা।