‘দুর্নীতিতে ডুবে সরকার, কেন্দ্রের থেকে এক টাকাও পাবে না!’ শুভেন্দুর আক্রমণে মুখ খুললেন মমতা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজকের কথা নয়, বহুদিন থেকে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব রাজ্য সরকার। গতকাল কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থের দাবি নিয়ে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর ঠিক তখনই কেন্দ্র তরফে পাঠানো প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে শ্যামবাজারে ধর্না মঞ্চে বঙ্গ বিজেপি (BJP)।

একের পর এক বিজেপি নেতারা এদিন ধর্না মঞ্চ থেকে আক্রমণ করলেন রাজ্য সরকারকে। এদিন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suven Adhikari) মন্তব্য, “লাগামছাড়া দুর্নীতির কারণে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ২৭ নম্বর ধারা জারি করেছে। আর একটা টাকাও রাজ্য পাবে না।” শুভেন্দুর কটাক্ষ, “পিসিমনির সরকারের দিন শেষ হয়ে এসেছে।আপনারা দিন গোনা শুরু করে দিন।”

mamata suvendu

তবে শুভেন্দুর মন্তব্যের পরই তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “তুমি যতই ২৭ নম্বর ধারা লাগাও। নির্বাচন এলে জনগণ ৪২০ লাগিয়ে দেবে।” হাইভোল্টেজ বুধবারে বিজেপির মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে।

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ প্রসঙ্গে সুকান্তর দাবি, “আগে শুনতাম বাম আমলে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হত না কারণ কেন্দ্র মেঘ পাঠাত না। ঠিক তেমনই এখন তৃণমূল সব ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের বঞ্চনা খোঁজে। তৃণমূল আমলে কিছুই বদলায়নি। শুধু পোশাক বদল হয়েছে। এখনও সেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার গল্প চলছে।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর দুদিনের ধর্নার খরচ নিয়েও তোপ দাগেন তিনি। বলেন, “যতদূর জানি মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না মঞ্চ তৈরি করেছে পূর্ত দফতর। অথচ উনি বলছেন দলের ধর্না। মঞ্চের পিছনে দলের চিহ্ন। সরকারি পয়সায় কী করে দলের কর্মসূচি করেন?”

শুধু তাই নয় এদিন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কেও একহাত নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভাইপো বলেছেন দিল্লি যাবেন। কিন্তু সংসদে ওর উপস্থিতি ৩০% কম। উনি ভয়ে দিল্লি যেতে পারেন না, যদি ইডি ধরে! অনুব্রত (মণ্ডল) তো আগেই চলে গিয়েছেন। বাকিরাও যাবেন। দলের নাম বদলে দিতে হবে। কিছুদিন পরে তিহাড়মূল কংগ্রেস হতে পারে।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর