নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের জেরে পাহাড়ে বিজেপি ছেড়েছেন 100 জন নেতা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই রাজ্যে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গেছে, একের পর এক তৃণমূল এবং অন্যান্য বিরোধী দল থেকে নেতৃত্বরা বিজেপিতে যোগ দিয়ে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন কিন্তু, এনআরসি আতঙ্ক ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মাথা ছাড়া দেওয়ার পর আস্তে আস্তে বিজেপিতে ভাঙন ধরেছে। ইতিমধ্যেই তাঁর প্রমাণ পাওয়া গেছে রাজ্যের তিন তিনটি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে।

আস্তে আস্তে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতো পাহাড় কেউ নিজেদের দলে করে নিয়েছে বিজেপি কিন্তু এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকে পাহাড়ে বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এক কথায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের আতঙ্কে বিজেপির দল ছাড়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে একশতে।bjp 800x500 1280x720 1

জানা গিয়েছে পাহাড়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শান্তা কিশোর গুরুংয়ের পদত্যাগের পর এই নিয়ে মোট 106 জন বিজেপি ছেড়েছেন। দার্জিলিং কার্শিয়াং কালিম্পং তিনটি জেলাতেই বিজেপির বড়সড় ভাঙন হয়েছে, যার জেরে ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গে বিজেপিতে ভাঙনের বড়সড় সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

জানা গিয়েছে পাহাড়ে যে কজন বিজেপি ছেড়েছেন তাঁদের মধ্যে দার্জিলিং থেকে 30 জন অন্য দিকে কালিম্পং থেকে 36 জন তালিকায় রয়েছেন, পাশাপাশি কার্শিয়াং থেকে 39 জন বিজেপির পদাধিকারী দল ছেড়েছেন। অর্থাত্ যে পাহাড়ে এক সময় গেরুয়া ঝড় উঠেছিল মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে সেই গেরুয়া ঝড়ের দাপটে আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে।

আসলে অসমের নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর এক লক্ষ গোর্খা নাম বাদ পড়ে গিয়েছে আর তাতেই কার্যত মাথায় হাত পড়েছে পাহাড়ে বিজেপির। একই সঙ্গে যে সান্তা কিশোরের সম্পর্ক বিজেপির সঙ্গে খুব মধুর ছিল সেই সান্তা কিশোর বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।

কিন্তু এই ভাবে দলত্যাগ বিজেপির ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে সাফাই গেয়েছেন পাহাড়ে বিজেপির সভাপতি মনোজ দেওয়ান, পাশাপাশি তিনি পাহাড় অবিচ্ছিন্ন আছে বলেই দাবি তুলেছেন।


সম্পর্কিত খবর