লাল ঝান্ডার মিছিলে মোদির জয় গান! তৃণমূলকে ঠেকাতে হুগলিতে রাম-বাম একসাথে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিষেধাজ্ঞা ছিল আলিমুদ্দিনের। সেই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই ফের একবার রাম-বাম একসাথে। মিছিলের এদিক-ওদিক থেকে উঁকি মারছে লাল ঝান্ডা। আর সেই মিছিল থেকেই শোনা যাচ্ছে ‘নরেন্দ্র মোদী জিন্দাবাদ!’ ফের একবার বাম ও বিজেপির একত্র আন্দোলন দেখা গেল হুগলি জেলায়। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির দাদপুর থানা এলাকার পাঁজিপুকুরের হারিট গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ের সামনে। বিজেপির দলীয় নেতৃত্ব সিপিএমের যোগদানের কথা মেনে নিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে বাম নেতৃত্বের দাবি বিজেপি নাটক করছে।

বিজেপি ও সিপিএম একত্রে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা নয়ছয় ও স্বজনপোষনের বিরোধিতা করে এবার আন্দোলনে নামল হারিট গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে। এই মিছিলের প্রধান উপলক্ষ ছিল হারিট পঞ্চায়েত অফিসে স্মারকলিপি জমা দেওয়া। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদি গরিব মানুষদের ঘর দিতে প্রকল্প এনেছেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতি করে দোতলা বাড়ির উপর তিনতলা বাড়ি বানাচ্ছে সেই টাকা দিয়ে।

বিজেপি নেতাদের দাবি, সিপিএমের পতাকার উপস্থিতি প্রমাণ করে যে তাদের আন্দোলন মানুষের মন ছুঁয়েছে। আন্দোলনরত বিজেপি নেতা অর্ঘ্য চক্রবর্তীর দাবি, “দিশাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা। সিপিএমের নেতাদের রাস্তায় দেখা যায় না। তাই তারা আমাদের ডেপুটেশনে স্বত:প্রণোদিত ভাবে যোগদান করতে এসেছেন। তারা জেনে গেছেন বিজেপির সাথে আন্দোলন না করলে প্রাপ্য জিনিস পাওয়া যাবে না। সিপিএমের কর্মীরা দলের নেতাদের এখন আর বিশ্বাস করেন না।”

যদিও সিপিএম নেতারা এই বিষয়টিকে মানতে চাননি। সিপিএমের হুগলি জেলার সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেছেন,”ওই মিছিলে সিপিএমের কোন কর্মী ছিলেন না। ওই কর্মসূচিটা ছিল বিজেপির। রাস্তার ধারে কিছু সিপিএমের পতাকা ছিল। সেই পতাকা তুলে এনে বিজেপি দাবি করছে এই মিছিলে সিপিএম যোগের। আমাদের কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে! ওই মিছিলে কোন গণসংগঠনের লোক ছিলেন না।”

TMC bjp cpim
এই মিছিলে দু কাঁধে সিপিএমের লাল ঝাণ্ডা ও বিজেপির গেরুয়া পতাকা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা শম্ভু মিদ্দা। তিনি বলেন, আগে তিনি সিপিএম করতেন। কিছুই পাননি তৃণমূল সরকারের আমলেও। অন্যদিকে সিপিএমের নেতাদেরও দেখা মেলেনা। তাই বাধ্য হয়ে বিজেপি করছেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর