বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপিতে অসন্তোষ দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত বছরের শেষের দিকে একে একে বিজেপি বিধায়কদের বিজেপির Whatsapp গ্রুপ ছাড়ার খবর সামনে এসেছিল। বঙ্গ বিজেপিতে কিছু রদবদল হওয়ার পর থেকেই বিজেপির বিধায়কদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরের দিন বঙ্গ বিজেপির কমিটিতে বড়সড় রদবদল করা হয়। আর সেই রদবদলে নিজের পদ খুইয়ে বিজেপির Whatsapp গ্রুপ ছাড়েন সায়ন্তন বসু। সেখান থেকেই বিজেপির মধ্যে Whatsapp বিদ্রোহ শুরু হয়। এরপর বঙ্গ বিজেপি জেলা কমিটিগুলোতেও আমূল পরিবর্তন আনে। আর সেই পরিবর্তনে নাখুশ হয়ে মতুয়া গড়ের পাঁচ বিধায়ক Whatsapp গ্রুপ ছাড়েন।
এর ঠিক একদিন পর বাঁকুড়ার পাঁচ বিধায়ক একই ভাবে Whatsapp গ্রুপ ছাড়েন। সরাসরি তাঁরা কিছু না বললেও, তাঁরা এটুকু বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, জেলা সভাপতি সহ পর্যবেক্ষক এবং বাকি পদে যাদের নতুন করে নিযুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের নিয়ে খুশি নন বিজেপির বিধায়করা। আর এই কারণেই একটা প্রতিবাদ দেখাতেই তাঁরা Whatsapp গ্রুপ ছেড়েছিলেন।
বেশ কদিন এই মামলা একটু শান্তই ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার মতুয়া গড়ের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর Whatsapp ত্যাগী বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে রুদ্ধদ্বারে একটি বৈঠক করে জল্পনার সৃষ্টি করেন। অশোক কীর্তনিয়া, মুকুটমণি অধিকারী, অসীম সরকার ও সুব্রত ঠাকুরদের নিয়ে এই বৈঠক সারেন শান্তনুবাবু। আর এই বৈঠক নিয়েই বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বুকে ধুকপুকি শুরু হয়।
শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বিজেপির বিধায়কদের করা বৈঠকে বেশ কয়েকটি দাবি উঠে এসেছে। তাঁরা এই দাবিগুলো রাজ্য বিজেপির শীর্ষনেতাদের সামনে রাখবেন, আর সেই দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে তাঁরা কোন পথে হাঁটবেন সেটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ঠিক করবেন বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে বিজেপির বিধায়করা যেই দাবিগুলো তুলেছেন, সেগুলো হল …
- বনগাঁ ও নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পরিবর্তন করতে হবে।
- নবদ্বীপ জোনের পর্যবেক্ষক পরিবর্তন করতে হবে।
- মতুয়া সম্প্রদায়ের একজনকে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করতে হবে।