বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বনগাঁ (Bangaon) থেকে বারবার প্রকাশ্যে আসছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। কখনও বৈঠকে অনুপস্থিত থাকছেন দলীয় নেতৃত্ব, বিধায়করা, তো আবার কখনও পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দল ছাড়ছেন বনগাঁ সাংগাঠনিক জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি। সব মিলিয়ে বর্তমান সময়ে বনগাঁ থেকে প্রতিদিনই বিজেপির দল ভাঙ্গনের খবর প্রকাশ্যে আসছে।
বনগাঁ থেকে বিজেপির এই টালমাটাল অবস্থার মাঝে সামনে এল আরও একটি বিষয়। নির্বাচনের পরবর্তী হিংসা ও ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোমবার সন্ধ্যায় বাগদা থানার হেলেঞ্চা বাজারে মশাল হাতে মিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপি শিবির। শুধুমাত্র বনগাঁতেই নয়, কলকাতা, হাওড়া-সহ একাধিক এলাকায় এই প্রতিবাদী পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে বেশকিছু জায়গায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনাও ছড়ায়।
তবে এদিন বাগদায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর-সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত থাকলেও, অনুপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das)। যা নিয়ে কিছুটা জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।
এবিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব জানিয়েছেন, ‘অসুস্থ থাকার কারণেই এদিন অনুপস্থিত ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস’। অন্যদিকে বাগদার তৃণমূল নেতা তরুণ ঘোষের বক্তব্য, ‘শুধুমাত্র এদিনের প্রতিবাদী মিছিলেই নয়, অনেকদিন ধরেই দলের কোন কর্মসূচিতে দেখা যায় না বিধায়ককে। উনি বিজেপিতে আছেন কিনা, সেটা নিয়েই এখন সংশয় দেখা দিয়েছে’।
এভাবেই বনগাঁ থেকে ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে বিজেপির দলীয় কোন্দল। কদিন আগেই দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে পদ্ম শিবিরের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে পদ এবং দল দুইই ছাড়েন বনগাঁ সাংগাঠনিক জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি (Bangao Minority Cell President) খালেক বিশ্বাস। এই মর্মে জেলা সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্রও পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।