শালতোড়ের মানুষের সেবাই প্রধান লক্ষ্য এটাই শপথ, জানালেন চন্দনা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাঁকুড়ার শালতোড়া (saltora) আসনটি এবছর তপশিলি জাতীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। আর সেই আসন থেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন চন্দনা বাউড়ি (Chandana Bauri)। দারিদ্র সীমার নীচে বাস করা চন্দনার বাড়িতে একটিও আসবাব পত্র পর্যন্ত নেই। কোনোরকম ভাবে ঝুপরিতে মাথা গুঁজে জীবনযাপন করেন তাঁরা। প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন তিনি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শালতোড়া কেন্দ্রে বিজেপির জয় এনে দেন সেই চন্দনা বাউড়ি।

নির্বাচনে জয়ের পর বিধায়ক হিসাবে শুক্রবার শপথ নেওয়ার জন্য কলকাতায় আসার কথা ছিল চন্দনার। কিন্তু যাবেন কিভাবে? বিধানসভায় পৌঁছানোর জন্য অবশেষে দাদার গাড়ি ভাড়া করে সুদূর বাঁকুড়ার শালতোড়া থেকে পৌঁছলেন কলকাতা। শপথ গ্রহণ করলেন বিজেপির ‘দরিদ্রতম’ প্রার্থী চন্দনা বাউড়ি।

saltorabauribjp 1620018060

বিধায়ক হয়েই প্রথমে শালতোড়ার রাস্তা-ঘাট তৈরির কাজে মনোনিবেশ করবেন বলে জানিয়েছেন চন্দনা বাউড়ি। সেইমত কিছু কাজ পরিকল্পনাও করে নিয়েছেন। আগামী ৫ টা বছর এলাকার মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন তিনি।

কান্না ভেজা গলায় বললেন, ‘কলকাতায় আসার অনেক খরচ। কিন্তু মানুষ আমাকে জিতিয়েছে, তাই আসতে তো হবেই। আমার মত একজন দরিদ্র মানুষকে টিকিট দেওয়ার জন্যও ধন্যবাদ বিজেপিকে’।

প্রসঙ্গত, বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বহুবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে চন্দনার নাম। প্রথম থেকেই যেভাবে তিনি প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন, তা নজরকাড়ার মত ছিল। অবশেষে দেখা যায়, যে মেয়েটি পান্তা খেয়ে দিন-রাত পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করেছিলেন, তাকেই পছন্দ করেছে শালতোড়ার মানুষ।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর