বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় এবং তার পরও বহুবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন বাঁকুড়ার শালতোড়ার (saltora) বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি (Chandana Bauri)। তার সরলতা, জীবনযাপন সবই নজর কেড়েছিল আম জনতার।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় সবথেকে দরিদ্র প্রার্থী ছিলেন এই চন্দনা বাউড়ি। যেখানে বারংবার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের নেতারা টাকার বিনিময়ে নাকি ভোট কেনেন সেখানে পান্তা খেয়ে দিন-রাত পাড়ায় পাড়ায় প্রচারে ঝড় তুলে, প্রতিদ্বন্ধীকে হারিয়ে বিজেপির সাফল্য এনে দেয় শালতোড়ার চন্দনা।
বিধায়িকা হয়েছেন বহুদিন, তবে এখনও তার জীবনযাপন, চলাফেরায় সেই আঁচ টুকু লক্ষ্য করা যায়নি। যেখানে শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের চোখ ধাঁধানো জীবনযাপন! সেখানে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি এখনও বাসেই করেন পরিবহন। হ্যাঁ একদমই তাই। আর এদিন তিনি বাসে যাতায়াতের সময় বাংলাহান্টের ক্যামেরার মুখোমুখি তিনি। নিজের অতি সাধারণ জীবনযাপন নিয়ে যা বললেন বিধায়িকা, শুনলে অবাক হবেন।
আরও পড়ুন: ভাঙবে পূর্বের সব রেকর্ড! জোড়া ঘূর্ণিবর্তের জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ৫ দিন জারি সতর্কতা
বলেন, “আমরা গরিব ঘরের মানুষ। আমাদের বিধানসভা থেকে হেঁটে আসাটা কোনও ফ্যাক্টর না। আমরা মাঠে-ঘাটে কাজ করা মানুষ। হেঁটে বলুন, সাইকেলে বলুন এটাই আমাদের অভ্যেস ছোট থেকে।” অন্য বিধায়কদের এত বিলাসবহুল জীবনযাপন আর তিনি বাসে যাতায়াত করছেন, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য আমি কখনই চাই নি। ভবিষ্যতেও চাইবো না। আমি স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি আমি একজন বিজেপির এমএলএ হব। যেটা একটা সর্বভারতীয় দল। আমি গর্বিত। এবং এখানে এসে যে সন্মান আমি পেয়েছি তাতে আমার জীবন ধন্য।”
আরও পড়ুন: ‘অত্যন্ত চিন্তার বিষয়…!’, পর্ষদের উত্তর শুনে ‘থ’ বিচারপতি বসু, তোলপাড় হাইকোর্ট
মাত্র একজন নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরছেন বিধায়িকা। যা সত্যিই এরাজ্যে বিরল। পাশাপাশি তার ওপর বেশ কিছুবার আক্রমণও হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি মৃত্যুতে ভয় পাই না। আমি মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি। মানুষ যদি আমার পাশে থাকে তাহলে আমার আর ভয় নেই। আমি মানুষের জন্য করে যেতে চাই। ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়করা এভাবেই জীবনযাপন করে। তৃণমূলের ব্যাপার আলাদা।”
শাসকদলের বিধায়িকা হলে কী তিনি অন্যভাবে জীবন কাটাতেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কখনোই না। আমি কখনও নিজের কথা ভাবিনি যে আমার বাড়ি চাই, গাড়ি চাই। আমি মানুষের জন্য করতে চাই।” শাসকদলের দিকে আঙ্গুল তুলে তিনি বলেন, “আমাদের যে বিধায়কের ফান্ড এর টাকা সেটাও পর্যন্ত খরচা করতে দেওয়া হয়না। আমার MLA ফান্ডের ৩০ লক্ষ টাকা সেটা বিভিন্ন জায়গায় এলাকা উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করেছি তবে সরকার সবভাবে সাহায্য করেনা। “