বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সবথেকে দরিদ্রতম প্রার্থী হয়ে মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন চন্দনা বাউরি (Chandana Bauri)। বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা যখন দিকে দিকে পরাজয়ের শিকার হচ্ছিল, তখন চন্দনা বাউরি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে জয় হাসিল করে নেন। প্রথমবার বিধায়ক হওয়ার পর চন্দনা বাউরি মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং এলাকার রাস্তাঘাট উন্নত করার অঙ্গীকার করেন।
সেই সূত্রে বিগত দেড় মাসে বিজেপির এই বিধায়ককে এলাকার সমস্ত শ্রেণীর মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখাও গিয়েছে। ত্রাণ বিলি থেকে শুরু করে দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্য করে চলেছেন বর্তমানে বিজেপির খ্যাতনামা বিধায়ক। মঙ্গলবার চন্দনাদেবী প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বকেয়া টাকা কবে ঢুকবে সেটা জানতে স্থানীয় পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তাঁকে খালি হাতে ফিরতে হয়।
মঙ্গলবার চন্দনা বাউরি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চন্দন বাউরী শালতোড়া বিধানসভার বিধায়িকা 2018 থেকে আমি একই রকম ভাবে হ্যারেজমেন্ট হতে চলেছি ! 2020 সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাড়ি শুধুমাত্র আমি 60 হাজার টাকা পেয়েছি আর কোন টাকায় আমি পাইনি আজ পঞ্চায়েত গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে যা দেখলাম আজ দীর্ঘ 10 বছর ধরে একই রকম পঞ্চায়েত বিডিও অফিসের গাফিলতির জন্য বিভিন্ন গরিব মানুষ আজ সমস্ত কিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছে! আমিও বঞ্চিত শিকার তাহলে পশ্চিমবঙ্গের কত সাধারণ মানুষ আছে তারা কিভাবে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হতে চলেছে তাই মুখ্যমন্ত্রী কে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলবো!”
চন্দনা বাউরিকে ভিডিও বলতে শোনা যায় যে, পঞ্চায়েতে যারা সমস্যার কথা নিয়ে আসছে, তাঁদেরই বলা হচ্ছে চন্দনা বাউরির কাছে চলে যান। চন্দনা বাউরিই যদি সবকিছু করে, তাহলে পঞ্চায়েতগুলিকে চন্দনা বাউরির হাতে ছেড়ে দেওয়া হোক, আমি পঞ্চায়েতটাও দেখব। শালতোড়া বিধানসভাও দেখব। পঞ্চায়েত প্রধানরা যদি মনে করেন চন্দনা বাউরির কাছে গেলে সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে, প্রত্যেকটা প্রধানকে আমি বলতে চাই, চন্দনা বাউরিকে পঞ্চায়েত গুলো ছেড়ে দেওয়া হোক, চন্দনা বাউরি একাই দেখে নেবে।”
বাঁকুড়ার শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। সবাই, বিশেষ করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ওনার এই বয়ানের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। তবে, ওনার এই বয়ানের পরিপেক্ষিতে শাসক দল তৃণমূলের কোনও বয়ান এখনও সামনে আসেনি।