‘হাঁসখালির নির্যাতিতাকে জীবন্ত পোড়ানো হয়নি তো?’ প্রশ্ন বিজেপি বিধায়কের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাঁসখালিতে নির্যাতিতা কিশোরীকে জীবন্ত অবস্থাতেই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করল বিজেপির তদন্তকারী টিম। পয়লা বৈশাখের দিন হাঁসখালি এসে এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করতে দেখা গেল ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক তথা ওই টিমের অন্যতম সদস্য শ্রীরূপা চৌধুরীকে।

এদিন হাঁসখালি এসে শ্রীরূপা দাবি করেন, ‘রক্তাক্ত অবস্থায় সেই রাতে মেয়েটিকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের কাছে মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে, সেই রাতে তাদের বাড়ি ঘিরে রাখা হয়েছিল। তারা যে মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবেন তারও উপায় ছিল না।পরে মেয়েটিকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ও যে মারা গিয়েছিল তার কী প্রমাণ আছে? এইরকম ঘটনায় অল্প বয়সী মেয়েরা এতটাই ভীত হয়ে পড়ে যে কোমায় চলে যেতেই পারে। এক্ষেত্রেও মেয়েটি হয়ত কোমায় চলে গিয়েছিল। ওর বাড়ির লোক এসব বোঝে না, ওরা কী করে বুঝবে। ওদের ভয় দেখিয়ে সব কিছু করে ফেলা হয়েছে।’

শুক্রবার সকালেই হাঁসখালি পোঁছায় বিজেপির পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। জেপি নাড্ডার নির্দেশেই তৈরি হয়েছে এই দল। এই দল্র শ্রীরূপা মিত্র ছাড়াও ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এদিন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর সেই শ্মশানেও যান তাঁরা। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, সেই শ্মশানে তাঁরা পৌঁছানোর আগেই ঝুলতে দেখা যায় ‘তদন্তের স্বার্থে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ’ লেখা বোর্ড।

উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তের ভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের বাড়ির তালা ভেঙে রক্তমাখা একটি তোষক এবং বীর্যের নমূনা সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদেরও।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর