BJP বিধায়ক-সাংসদদের নামে সমানে কুৎসা, রহস্যময়ী স্বর্ণালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের শঙ্কর ঘোষের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন পোস্ট করার অভিযোগে স্বর্ণালী মজুমদারের বিরুদ্ধে থানার দ্বারস্থ হলেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। গত কয়েকদিন ধরেই ওই এক্স হ্যান্ডেল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু অশালীন পোস্ট করা হচ্ছে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং সাংসদ রাজু বিস্তার নামে। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বর্ণালী মজুমদার নামের হ্যান্ডেল থেকে এমন পোস্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

বিজেপি (BJP) বিধায়কের নামে কুরুচিকর পোস্ট

শঙ্কর ঘোষ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছেন স্বর্ণালী নামের ওই মহিলা। তাঁকে তিনি চেনেন না। বিজেপি (BJP) আইটি সেলের কেউ নন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, অসাধু উদ্দেশ্য নিয়ে এর আগেও বিজেপির দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কুৎসা করেছিলেন তিনি। এবার বিজেপির (BJP) বিধায়ক, সাংসদদের নিশানা করা হয়েছে।

কী বললেন বিধায়ক: বিজেপি (BJP) বিধায়ক বলেন, ওই মহিলার দাবি অনুযায়ী, সেক্স ব়্যাকেটে কে যুক্ত তা তিনি জানেন না। অথচ পোস্টে লেখা হয়েছে, তারা নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠ। কিন্তু কে যুক্ত তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু তাঁর নাম যেহেতু জুড়ে দেওয়া হয়েছে তাই তা নিয়ে এত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁর ছবিও অনেকের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আরো পড়ুন : অবশেষে শণাক্ত করা গেল বিজয় রূপানির দেহ, পরিবারকে খবর দিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী, রাজকোটে শেষকৃত্য

পুলিশের বিরুদ্ধেও আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগ: স্বর্ণালীকে ‘রহস্যময়ী নারী’ বলে কটাক্ষ করে শঙ্কর ঘোষ দাবি করেছেন, ‘শুধু আমাকে নয়, নানান প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশ্যেও কুরুচিকর পোস্ট করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধেও পোস্ট করা হয়েছে। এতেই ওঁর রুচি স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে’। তিনি প্রশ্ন করেছেন, তাঁর নাম নিয়েই এত হইচই কেন? উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এমনটা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শঙ্কর ঘোষ।

আরো পড়ুন : রয়েছেন ICU-তেই, এখনও সঙ্কট কাটেনি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, তড়িঘড়ি গঠন ৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড

বিধায়কের দাবি, এর আগে এক মহিলা নিজেকে স্বর্ণালী পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন। নিজেকে আইটি সেলের হেড বলে পরিচয় দিয়ে বিজেপি (BJP) বিধায়কদের গ্রুপ তৈরি করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কীভাবে পোস্ট করা হয়েছে তা শিখিয়েছিলেন। তবে শঙ্কর ঘোষ জানান, তাঁরা প্রশিক্ষণ নেননি। কিন্তু পরে জানতে পারেন যে ওই মহিলা নাকি আইটি সেলের কেউ নন। সঙ্গে সঙ্গে গ্রুপ থেকে বেরিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা ওই মহিলার বিরুদ্ধে।