বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের ভাঙ্গন পদ্ম শিবিরে। এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। অভিষেক ব্যানার্জীর হাত থেকে রবিবার ক্যামাক স্ট্রিটে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে পছন্দ করেন অনেকে। তাই তারা দল ছাড়ছেন। এতে কিছু যাবে আসবে না। এত সহজ নয় বিজেপিকে শক্তিহীন করা।”
এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন তৃণমূলের দরজা খুলে দিলেই বিজেপির একাধিক নেতা তাদের দলে চলে আসবেন। বিজেপি যদিও এই মন্তব্যকে কোনদিনই গুরুত্ব দেয়নি। উল্টে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূলের একাধিক নেতা নাকি বিজেপিতে যোগদানের অপেক্ষায় রয়েছেন! এই টানাপোরেনের মাঝেই এবার আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল যোগদান করলেন তৃণমূলে।
রবিবার তিনি আসেন ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর অফিসে। দলের পতাকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তুলে দেন সুমন বাবুকে। এই ঘটনাটি তৃণমূলের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়। এই বিষয় তৃণমূল নেতা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেছেন, “বিজেপি তে থাকা যায় না। তৃণমূলে এসেছেন উনি। স্বাগত ওনাকে। একসাথে কাজ করব আমরা।”
দলের এই ভাঙ্গন কতটা প্রভাব ফেলবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে? এই বিষয় বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য দাবি করেন, “ক্ষমতার লোভে অনেকেই লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির হাত ধরেছিলেন। তারা আসলে ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে পছন্দ করেন। সেই জন্য প্রয়োজন মত বদল করেন শিবির। কিন্তু এই দরদ ত্যাগ কোনো প্রভাব ফেলবে না বিজেপিতে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পেশায় সাংবাদিক সুমন ২০২০ সালে রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন । প্রথমে অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ীর নাম আলিপুরদুয়ার আসনে বিজেপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়। পরে ওই আসনে সুমনকে প্রার্থী করা হয়। বালুরঘাটে এরপর অশোককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সুমনই এ বার নাম লেখালেন জোড়াফুল শিবিরে।