বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূল নেতাদের খুনের হুমকি দিয়ে এবার শিরোনামে বিজেপি নেতা। ‘ক্ষমতায় এলে এনকাউন্টার করে দেব’ বুধবার একটি অবরোধে এমনটিই বলতে শোনা যায় বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে। পুরভোটের প্রাক্কালে বিধায়কের এহেন বেফাঁস মন্তব্যে কার্যতই আবারও অস্বস্তিতে রাজ্যের গেরুয়া শিবির।
মঙ্গলবার নদিয়ার কল্যাণীতে একটি কর্মীসভা ছিল বিজেপির। আর এই সভাতেই আক্রান্ত হন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি রামপদ দাস। এই ঘটনার পরই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে রেখে গোপালনগর থানার নহাটা বাজার এবং বাগদা থানার হেলেঞ্চা বাজার অবরোধ করে বিজেপি। অবরোধ চলে আরও বিভিন্ন জায়গাতেও। এদিন দুপুরে যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। সেখানেই ভাষণ দেওয়ার সময় এহেন বিতর্কিত মন্তব্য করেন ওই বিজেপি নেতা।
তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ আমাদের সভাপতিকে পার্টি অফিসের মধ্যে ঢুকে মারতে চেষ্টা করা হয়েছে। যারা তালিবান শাসনে বিশ্বাসী, তৃণমূলের সেই সব হার্মাদদের বলে দিতে চাই আমরা ক্ষমতায় এলে এই সব পুলিশ দিয়েই আপনাদের এনকাউন্টার করা হবে’। তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির নেতা কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। আমাদের সভাপতির গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। পুরো ব্যাপারটি ভীষণই নিন্দনীয়’।
পুরো ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের পুলিশদের দেখে বিজেপি নেতারা অভ্যস্ত। তাই যখন তখন এনকাউন্টারের কথা বলে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এমন কথা কেউ কীভাবে বলেন তা দেখেই আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি’। বিজেপির বিরুদ্ধে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ এনেছেন বনগা সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত। বিজেপিকে একটি উশৃঙ্খল দল বলে সম্বোধন করে তিনি জানান স্বপন ঘোষের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা চলছে। রায় বেরোলেই খারিজ হবে তাঁর পদ একথাও জোর দিয়ে বলতে শোনা যায় তাঁকে।
সামনেই বাংলার চার পুরসভায় নির্বাচন। এর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দের জেরে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতেই ছিল রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বেঁফাস মন্তব্যের জেরেই একুশের বঙ্গ বিধানসভায় গোহারা হেরেছে বিজেপি, এমনটাই মত সমালোচকদের একাংশের। তাই পুরভোটের আগে এবার খোলা ময়দানে বিজেপি বিধায়কের এহেন মন্তব্যে যে আরও কিছুটা বাড়ল গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তির পারদ, তা বলাই বাহুল্য।