সব সরকারি প্রকল্পে ৩০ শতাংশ কাটমানি খেয়েছেন দেব! বড় বোমা ফাটালেন বিজেপির হিরণ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তারকা দ্বন্দ্ব অব্যাহত! এবার ঘাটালের তৃণমূল (Trinamool) তারকা সাংসদ দেবের বিরুদ্ধে কাটমানির ভাগ নেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। অভিযোগ, সমস্ত সরকারি প্রকল্পে ৩০ শতাংশ কাটমানি নিয়েছেন শাসকদলের অভিনেতা সাংসদ দেব (Dev)।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ এর ১০০ তম পর্ব উদযাপন কর্মসূচিতে মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরোমণিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ। সেখানে সংবাদমাধ‌্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সাংসদ দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি।

ঠিক কি অভিযোগ হিরণের? এদিন দেবকে তোপ দেগে খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক বলেন, সমস্ত সরকারি প্রকল্পের ৩০ শতাংশ কাটমানি নিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী আর তা তোলা হয়েছে এজেন্টদের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিক বার দেবকে নিশানা করে মন্তব্য করেন হিরণ।

এই যেমন কিছুদিন আগে হিরণ বলেছিলেন, দেব এনামুল হকের থেকে পাঁচ কোটি টাকা নিয়েছেন। যার পালটা জবাব দিয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেব বলেছিলেন, “আপনার কাছে যদি প্রমাণ থাকে তাহলে দয়া করে আপনি সিবিআই, ইডি’র কাছে যান।” সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দেবকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য হিরণের।

প্রসঙ্গত, একদিন আগেই দেবের এক জ‌্যাঠতুতো ভাই আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলেরই নিচুতলার নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হন। কাঠমানির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েও আর শেষমেশ তৈরী হয়নি সেই যোজনার বাড়ি। তৃণমূলের নেতাদের কাঠমানি দিতে হয়েছিল সেই টাকা। খোদ সাংসদের ভাইয়ের এহেন মন্তব্যে শোরগোল পরে যায় রাজ্য-রাজনীতিতে।

dev hiran chatterjee

এরই মধ্যে দেবের বিরুদ্ধেই কাঠমানির অভিযোগ তুললেন হিরণ। হিরণের এই অভিযোগের পাল্টা কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও আসেনি দেবের তরফে। তবে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি হিরণকে তোপ দেগে বলেন, “দেব ফোবিয়ায় ভুগছেন হিরণ। মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষ সাংসদ থাকায় এখানকার টিকিট তিনি পাবেন না। তাই দলের কেউ হয়তো তাকে ঘাটালের টিকিট পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়েছে। সেই কারণেই উলটোপালটা বকছেন। তবে এসব করে কোনো লাভ হবে না।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর