বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত সপ্তাহ থেকে কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুর সহ গোটা বাংলা। নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সরকার সহ প্রশাসনের ওপর আঙ্গুল তুলেছে বিরোধী দল গুলি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের একাংশ। এবার এই ঘটনাতে মুখ খোলায় উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) শঙ্কর ঘোষকে (Shankar Ghosh) একেবারে প্রাণে মারার হুমকি।
ঠিক কি ঘটেছে? কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু এবং পরবর্তীতে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে নিজের টুইটারে একটি পোস্ট করেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তার সেই পোস্টের কমেন্টেই সরাসরি বিধায়ককে খুনের হুমকি দেওয়া হয় ‘biplabi’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে।
কি হুমকি দেওয়া হয়? বিধায়কের নিজের করা পোস্টেই তাকে উল্লেখ করে লেখা হয়, “আপনার মতন জানোয়ার যাকুর বাচ্ছা যে নাকি একটা দাঙ্গাবাজ পার্টিতে ঢুকেছে তার কাছ থেকে এরকমি নির্লজ্জ মিথ্যাচার কোন আশ্চর্য নয়। আপনাকে অবিলম্বে এরেস্ট করে মারা উচিৎ।”
এই খোলা হুমকির পর থেকে স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শঙ্করবাবু। তিনি বলেন, “গত ২৭ তারিখ আমি কালিয়াগঞ্জে অস্বাভাবিকভাবে নাবালিকার মৃত্যু এবং পরবর্তীতে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে একটি পোস্ট করি টুইটে। ওই টুইটারের পোস্টেই মন্তব্য করে বলা হয়েছে আপনাকে অ্যারেস্ট করে মারা উচিৎ। ওই টুইটার হ্যান্ডেল থেকে আমাকে অ্যারেস্ট করে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।”
বিধায়কের আরও অভিযোগ, “ওই একই টুইটার হ্যান্ডেল থেকে রোজ তৃণমূলের হয়ে প্রচার করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ক্রমাগত আক্রমণ করা হয়। আর এবার রাজ্য পুলিশ দিয়ে আমাকে মারার চিন্তাভাবনা চলছে কিনা সেটাও এবার এই পোস্টের মধ্য দিয়ে সামনে এসেছে।” হুমকির এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শঙ্কর ঘোষ। তবে যেখানে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই হুমকির শিকার সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।