বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকালই বিজেপির সঙ্গে চার বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। শুক্রবার বিকেলে তৃণমূল ভবনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। বিজেপি ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলটা ভালো লাগছে না।”
মুকুল রায়ের বিজেপি ছাড়ার জল্পনা উঠতেই গেরুয়া শিবিরে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। এমনিতেই হারের পর বিজেপির অনেক দলবদলু নেতা বেশ কয়েকদিন ধরে বেসুরো গাইছিলেন। আর মুকুলের বিজেপি ছাড়ার খবর পেতেই তাঁরা আবার সক্রিয় হয়। শুক্রবার বনগাঁয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের একটি সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। আর সেই বৈঠকে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সহ তিনজন বিজেপির বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন।
তিনজন বিজেপির বিধায়কের মধ্যে একজন হলে বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das)। গতকাল দলের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার পর তিনি এবার বেসুরো গাইছেন। বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক। মমতা ব্যানার্জী এবং অভিষেক ব্যানার্জীর সঙ্গেও তাঁর মধুর সম্পর্ক, এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যত বলবে, তিনি কী করবেন।”
বলে দিই, উনিশের লোকসভা ভোটে বিজেপির বিশাল জয়ের পর মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। নির্বাচনের আগেও তাঁকে নিয়ে জোর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল। বিশেষ করে বিধানসভা অধিবেশন আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে তাঁকে একান্ত বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল। তখনই তাঁকে নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। যদিও, বিশ্বজিৎবাবু তখন দল না ছেড়ে বিজেপিতে থেকে যান। আর বিজেপির তরফ থেকে তাঁকে বিধানসভার টিকিট দেওয়া হয়। বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে এখন বেসুরো গাইছেন বিশ্বজিৎ দাস।