বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেলগাছিয়ায় ধুন্ধুমার! পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হাতে আঁচড়ের দাগ দেখিয়ে তাঁর অভিযোগ, পুলিশ ধাক্কা দিয়েছে, রক্তাক্ত করেছে। ‘এই রক্ত গুছিয়ে রাখলাম’, বলেন বিজেপি বিধায়ক।
পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)!
গত ১৯ মার্চ হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে ধস নেমেছে। এরপর উত্তর হাওড়া কেন্দ্র ও শিবপুরের জল সরবরাহের মূল পাইপলাইন ফেটে যায়। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা ‘জলহীন’ হয়ে পড়ে। এই আবহেই আবার ভাগাড় সংলগ্ন রাস্তায় ফাটল চোখে পড়ে। সেই সঙ্গেই বেশ কিছু বাড়িতেও ফাটল দেখা যায়। এই নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এবার বেলগাছিয়ায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন শুভেন্দু।
সোমবার সকালে বেলগাছিয়ায় গিয়েছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি আগামী তিনদিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি। এরপর দুপুরের দিকে শংকর ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান শুভেন্দু। তখনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
আরও পড়ুনঃ ‘ধর্ষণের মোটিভ ছিল না…’! এবার বোমা ফাটালেন তিলোত্তমার মা! আরজি কর কাণ্ডে তোলপাড়
বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে বাধা দিয়েছে। কথা কাটাকাটির মাঝে তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। হাতে আঁচড়ের দাগ দেখিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘পুলিশ আমায় ধাক্কা দিয়েছে। আমায় রক্তাক্ত করেছে। এই রক্ত গুছিয়ে রাখলাম’।
এরপর হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড়ের পরিস্থিতি নিয়েও সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘২০০% কাজের নমুনা দেখুন। গরিবের কী অবস্থা! খাবার নেই। মিথেন গ্যাস বেরোচ্ছে। যদি রাজ্য সরকার উন্নাসিকতা করে তাহলে আরও বড় ঘটনা ঘটবে’। এরপর ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যান সজল ঘোষ। সেখানেই বিরোধী দলনেতার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় বলে খবর।
পরবর্তীতে হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ফোনে ছবি দেখিয়ে বলেন, ‘চোখ দিয়ে দেখুন কে কাকে মারছে। আমি তো মার খেয়ে এসেছি। গোলাম মূর্তাজা আমার রক্ত নিয়েছে। আমি কোথাও অভিযোগ করব না। বাংলার জনগণ দেখছে, আপনারা দেখছেন’। তবে এই ছবি ও ভিডিওগুলি ডিলিট হবে না বলে জানিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা।