বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদা তৃণমূলের (Trinamool Congress) হেভিওয়েটদের মধ্যে গণ্য করা হতো তাঁকে। বর্তমানে বিজেপির অংশ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একুশের বিধানসভা ভোটের আগেই দলবদল করেন তিনি। এবার ফের একবার একযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিশানা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করায় গর্জে উঠলেন তিনি।
তৃণমূল ছাড়ার ‘কারণ’ ফাঁস করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)!
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে ‘গদ্দার’ বলে সম্বোধন করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘আমি মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের মতো গদ্দার নই। আমিই প্রথম এদের চিহ্নিত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলাম’।
এরপরেই অভিষেকের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক। তিনি দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে চিহ্নিত করেননি, বরং টার্গেট করেছিলেন। এমনকি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের কারণেই দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বলে জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যকে তিন সপ্তাহের ডেডলাইন! জনস্বার্থ মামলায় বড় নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘মুকুল রায় আর শুভেন্দু অধিকারীকে কবে চিহ্নিত করেছে? সালটা এবং মাসটা জানান। ও আমায় চিহ্নিত করেনি, টার্গেট করেছিল। টার্গেট করেছিল কারণ ও বিনয় মিশ্র, সুজয়কৃষ্ণ, প্রতীক দেওয়ান, শান্তনু, কুন্তলদের নিয়ে যে চুরি শুরু করেছিল, তাতে আমি বাধা দিয়েছিলাম’।
এখানেই না থেমে শুভেন্দু আরও দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) দলটা আগে এমন ছিল না। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল এই রকম ছিল না। ২০১১ সালের আগে তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ে চিন্তে পার্টিটা চালাতো। ২০১৪ সালে এসে সাজানো বাগান থেকে প্রবীণ নেতা সোমেন মিত্রকে ঘাড় ধাক্কা মেরে ডায়মন্ড হারবারে ৭০,০০০ ভোটে জিতে যে খেলাটা শুরু করেছেন উনি। ১৬ সালের পর থেকে যত দুর্নীতি, যত ভিডিও, অডিও সব সামনে এসেছে। প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার মালিক। এমন একটা নাবালক ছেলে। চার্টার্ড ফ্লাইটে ঘুরে বেড়ায়’।
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘এই বেয়াদব চোরটার জন্য আমায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়তে হয়েছে। আমি তো ২১ বছর ধরে তৃণমূল করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতি ও এই বাছুরটাকে যে তুলেছে এইটার বিরুদ্ধেই তো আমার প্রতিবাদ ছিল’।