নিয়োগ দুর্নীতি অতীত! স্কলারশিপের টাকাও চুরি করেছে তৃণমূল! শুভেন্দুর দাবিতে শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনে শিয়রে। আগামীকাল তথা শুক্রবার রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের (Raiganj) বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পালের সমর্থনে সভা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রত্যাশামতোই সেই সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি।

এদিনের সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, এই কেন্দ্রে যদি বিজেপি (BJP) প্রার্থী কার্তিক জয়ী হন, তাহলে উত্তরবঙ্গে এইমসের সমস্যার সমাধান করা হবে। রাজ্য জমি না দিলে, কেন্দ্রের জমিতে হাসপাতাল তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এরপরেই রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করা শুরু করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল আগে জাতীয় পার্টি ছিল। কিন্তু ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডে ভোটের পর আঞ্চলিক পার্টি হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। মানে গরুর গাড়ির হেডলাইট!’ এখানেই না থেমে তিনি দাবি করেন, পুকুরে ইলিশ মাছ চাষ করা সম্ভব হলে, তৃণমূলেরও (TMC) দিল্লি যাওয়া সম্ভব। পুকুরে ইলিশ না হলে তৃণমূলেরও দিল্লিতে যাওয়া অসম্ভব।

আরও পড়ুনঃ রামনবমীর মিছিলে হামলা পূর্বপরিকল্পিত! মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে কমিশনকে তোপ মমতার

এরপর এমন দাবি করার কারণও সকলকে জানান বিজেপি নেতা। শুভেন্দু বলেন, লোকসভার মোট আসনসংখ্যা ৫৪৩। সরকার গড়তে গেলে দরকার হয় ২৭২। সেখানে তৃণমূল লড়ছে মাত্র ৪৫টা কেন্দ্র। এই আসন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল! এই বিষয়টিকে ‘গরুর গাড়ির হেডলাইট’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

আজকের সভা থেকে দুর্নীতি ইস্যু নিয়েও রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন শুভেন্দু। তিনি দাবি করেন, ১০০ দিনের কাজে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে এই জেলায়। স্কলারশিপের টাকা চুরি করেছে এই রাজ্যের শাসক দল। শৌচালয় তৈরির টাকাও তৃণমূল লুট করেছে বলে দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

bjp mla suvendu adhikari attacks tmc

রায়গঞ্জে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে একহাত নেওয়ার পর কেন্দ্রের ঢালাও প্রশংসা করেন শুভেন্দু। সাধারণ মানুষের জন্য মোদী সরকার কী কী করেছে সেসব কথা রায়গঞ্জের মানুষকে শোনান তিনি। তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে নরেন্দ্র মোদীকে বসানোর ডাকও দিতে দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর