বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মার্চ মাসের শুরু থেকেই শিরোনামে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তার রেশ এখনও কাটেনি। এই আবহে এবার একটি দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই নিয়েই এবার সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টি ন্যাশানাল হাব’: শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
গত ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলন ছিল। সেখানে যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অভিযোগ ওঠে, মন্ত্রীকে হেনস্থা করা হয়েছে। পাল্টা ব্রাত্যর গাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়াকে ‘পিষে’ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটের কাছে লেখা একটি স্লোগান বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটের কাছে আজাদ কাশ্মীরের স্লোগান লেখা হয়েছে। সেই সঙ্গেই দাবি জানানো হয়েছে মুক্ত প্যালেস্তাইনের। এই দেওয়াল লিখনের নীচে অতি বাম ছাত্র সংগঠন পিডিএসএফের নাম লেখা রয়েছে। এবার এই নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘অ্যান্টি ন্যাশানাল হাব’ বলে তোপ দাগেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বিচারপতিদের শপথে এলেন না অ্যাডভোকেট জেনারেল! হঠাৎ কী হল? ‘কারণ’ ফাঁস হতেই শোরগোল
বিজেপি বিধায়ক এদিন বলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টি ন্যাশানাল হাব। টুকরে টুকরে গ্যাং। এই রকম স্লোগান লিখলেও পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে না’। কেন প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে না সেই উত্তরও দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘এরা ভোটের সময় বলে, নো ভোট টু মোদীজি। নো ভোট টু বিজেপি। যার ফায়দা পায় তৃণমূল’। ২০২৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রান্ত হওয়ার কথাও এদিন বলেন বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘২০২৩ সালে যাদবপুরে আমার ওপর হামলা চালিয়েছিল আরএসএফ। তাঁরা নিজেদের মাওবাদী বলেছিল। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশমন্ত্রী মমতার নির্দেশে রাত ১১টায় পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়। যাদবপুরের ওসি আমার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান। এখনও সেই মামলা চলছে’।