সনাতনী হিন্দুদের সভায় অনুমতি দেয়নি পুলিশ! সোজা হাইকোর্টে ছুটলেন শুভেন্দু অধিকারী

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে। সেই নিয়ে তোরজোড় তুঙ্গে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে সেখানে থাকবেন। সেই সঙ্গেই আরও মানুষ ভিড় করবেন ‘সৈকত শহরে’। সেদিনই আবার কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের নিয়ে সভা করতে চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেও অনুমতি মেলেনি। তাই এবার সোজা কলকাতা হাইকোর্টের (Suvendu Adhikari) দ্বারস্থ হলেন তিনি। ইতিমধ্যেই মিলেছে মামলা দায়েরের অনুমতি।

উচ্চ আদালতে (Calcutta High Court) শুনানি কবে?

সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপির একাধিক কর্মসূচিতে পুলিশি অনুমতি না মেলার অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট অবধি। অনেক মামলায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি। এবার কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের নিয়ে সভা করতে চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

জানা যাচ্ছে, জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে কড়া নিরাপত্তা মুড়ে ফেলা হয়েছে দিঘাকে। সেদিনই কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের নিয়ে সভা করতে চান শুভেন্দু। বিজেপি (BJP) বিধায়কের দাবি, এই কর্মসূচির জন্য পুলিশি অনুমতি মিলছে না।

আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদন! কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

পাল্টা পুলিশের দাবি, ৩০ এপ্রিল জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন রয়েছে। তার ওপর একইদিনে যদি সনাতনী হিন্দুদের মিছিল হয়, তাহলে সুরক্ষা দেওয়া একপ্রকার অসম্ভব হয়ে যাবে। এই কারণেই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন কাঁথির ওই মিছিলের অনুমতি প্রদান করা সম্ভব হয়।

Calcutta High Court

এরপরেই হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ওই কর্মসূচির জন্য পুলিশি অনুমোদন মিলছে না। তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এদিনই এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উচ্চ আদালতের তরফ থেকে কী নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিকে নজর থাকবে সকলের।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X