বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) উদ্বোধনের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, বাংলার প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি প্রসাদ পৌঁছে যাবে। সম্প্রতি জানা যায়, রথযাত্রার আগেই সেই প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। এই আবহে সাংবাদিক সম্মেলন করে গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্যাঁড়া-গজা হিসেবে নেবেন। প্রসাদ হিসেবে নেবেন না’।
জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পাঠানো নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)!
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পাঠানো নিয়ে মুখ খোলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। প্রসাদের প্যাকেট দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, আজকের সাংবাদিক সম্মেলন করার উদ্দেশ্য হল, ফের তিনি রাজ্যের হিন্দুদের আস্থায় আঘাত হানতে একটা প্যাকেট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসাদের প্যাকেট দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, এটা তৈরি হচ্ছে। মূল্য হচ্ছে ২০ টাকা। একটা প্যাঁড়া ও একটা গজা থাকবে। বিরোধী দলনেতা জানান, প্যাঁড়া-গজা থাকা অথবা প্যাকেটের মূল্য নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কারণ জানিয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ওনার কোষাগার তো শূন্য! ৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। আমার আপত্তি হল, শ্রী জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বলে, ওনার হাসি মুখের ছবি সহ সরকারি টাকায় দিঘায় যে ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে…।
আরও পড়ুনঃ অবিলম্বে বকেয়া DA মেটানো হবে! রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা সরকারের
কথা বলতে বলতেই একটি সার্কুলার তুলে নেন শুভেন্দু। বলেন, ডিএমদের সার্কুলার পাঠানো হয়েছে। ডিএম আবার বিডিও-এসডিওদের পাঠিয়েছেন। সেখান থেকে আমরা পেয়েছি।
প্রসাদের প্যাকেট দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এটাকে প্রসাদ নাম দেওয়া হচ্ছে। আস্থায় কত বড় আঘাত। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্যাঁড়া ও গজা হিসেবে নেবেন। যদি আসল হিন্দু হয়ে থাকেন, কেউ প্রসাদ হিসেবে নেবেন না’।
বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, এটা যেহেতু সরকারি চিঠি নয়, লিফলেট। এরপর সেটা পড়ে শোনাতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের পবিত্র ছবি এবং প্যাকেট পৌঁছে যাবে। এই প্রসাদের প্যাকেটে এক টুকরো গজা ও এক টুকরো প্যাঁড়া থাকছে। জগন্নাথ দেবের পবিত্র মন্দিরের ছবিও থাকছে। রাজ্যের সব পরিবার এই প্রসাদ পাবে। দুয়ারে রেশনের মাধ্যমে দেওয়া হবে’।
এরপরেই বিজেপি (BJP) বিধায়ক বলেন, ‘প্রসাদের নাম করে মিষ্টির দোকান থেকে প্যাঁড়া, গজা কিনে, রেশন ডিলারদের মাধ্যমে বাধ্য করিয়ে, হিন্দু ভোটকে বিভাজিত করতে উনি কেবলমাত্র হিন্দু ধর্মের ওপর বারবার এই ধরণের আঘাত করেন’। এটা হিন্দুদের আস্থায় আঘাত নয়? প্রশ্ন করেন বিরোধী দলনেতা।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনের পর থেকেই শিরোনামে রয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। এখন ‘প্রসাদ’ পাঠানো নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্যাঁড়া, গজা হিসেবে নেবেন, প্রসাদ হিসেবে নেবেন না।