শুভেন্দুর গাড়ি ঘিরে স্লোগান! বিরোধী দলনেতা নামতেই সব ঠান্ডা, উল্টে দে ছুট তৃণমূল সমর্থকদের!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাম নবমীর দিন বিজেপি নেতা স্বপন রায় চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বাধার সম্মুখীন হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গতকাল স্বপনের রাজারহাটের বাড়িতে যাচ্ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কিন্তু দেখা যায়, দলীয় পতাকা হাতে হাতে রাস্তায় জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) একদল কর্মী-সমর্থক। সেই দৃশ্য দেখে গাড়ি থেকে নেমে আসেন শুভেন্দু! ব্যস, নিমেষের মধ্যে পাল্টে যায় সম্পূর্ণ চিত্র!

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (X Account) একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন শুভেন্দু। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর গাড়ি যে রাস্তা দিয়ে যাবে, সেই রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। কিছু স্লোগানও দিচ্ছিলেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই গাড়ি থামাতে হয় বিজেপি (BJP) নেতাকে। কিন্তু যে মুহূর্তে তিনি গাড়ি থেকে নেমে আসেন, ওমনি ফাঁকা হয়ে যায় ভিড়। কয়েক মুহূর্ত আগে অবধি যারা ঝান্ডা হাতে স্লোগান দিচ্ছিলেন, নিমেষের মধ্যে ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যান তাঁরা!

গতকাল সন্ধ্যার এই ভিডিও শেয়ার করে শুভেন্দু লেখেন, ‘তৃণমূলের গুন্ডারা আসলে কাপুরুষ! ওঁরা ভাবে প্রচুর সংখ্যায় জড়ো হয়ে এবং স্লোগান দিয়ে আমার মতো কাউকে ভয় দেখিয়ে দেবে! গতকাল সন্ধ্যায় রামনবমীর দিন আমি বিজেপি নেতা শ্রী স্বপন রায় চৌধুরীর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন রাজারহাটে ওনার বাড়ি। যাওয়ার পথে তৃণমূলের কর্মীরা জড়ো হয়ে আমায় হয়রান করার চেষ্টা করে’।

আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতি অতীত! স্কলারশিপের টাকাও চুরি করেছে তৃণমূল! শুভেন্দুর দাবিতে শোরগোল

ঘটনার বিবরণ দিয়ে এরপর শুভেন্দু লেখেন, ‘কিন্তু আমি গাড়ি থেকে নেমে মুখোমুখি হতেই ক্ষীণ হৃদয়ের ‘গুন্ডা’রা সেখান থেকে তড়িঘড়ি পালিয়ে যায়। ওঁদের মনে রাখা উচিত, ২০২১ সালে আমি ওঁদের দলের সুপ্রিমোকে পরাজিত করেছিলাম। সেখানে ওঁরা তো খুবই তুচ্ছ!’

suvendu adhikari rajarhat ram navami

এক্স হ্যান্ডেলে গত সন্ধ্যার ঘটনা শেয়ার করে সরব হওয়ার পর এদিন রায়গঞ্জের সভা থেকেও তৃণমূলকে একহাত নেন শুভেন্দু। দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেন তিনি। সেই সঙ্গেই তৃতীয়বারের মতো নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসানোর ডাকও দেন।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর