বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অশান্ত মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Violence) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গত শনিবার এই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। রবিবার সেখান থেকে নতুন করে কোনও অশান্তির খবর না এলেও পরিস্থিতি থমথমে। এই আবহে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে বাংলায় যদি ভোট না হয়, তাহলে ৫০টি কেন্দ্রে নির্বাচনই হবে না বলে দাবি করলেন তিনি।
মুর্শিদাবাদে কারা অশান্তি পাকাচ্ছে? তালিকা তৈরি বলে জানালেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। একে একে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুতি, ধুলিয়ান সহ বেশ কিছু এলাকা। এই আবহে শুভেন্দুর দাবি, মুর্শিদাবাদে চক্রান্ত পাকিয়েছে মৌলবাদীরা। ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়কের কথায়, ‘ভিনরাজ্যে কর্মরত অভিযুক্তদের আত্মীয়দের রাজ্যে ফিরে মেরামতির কাজ করে দিয়ে যেতে হবে। বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে তাঁদের ফিরিয়ে এনে মেরামতির কাজ করানো হবে। রোডম্যাপ তৈরি, অভিযুক্তদের তালিকায় বানানো হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে রাজ্যে ভোট না হলে, ৫০টি কেন্দ্রে নির্বাচনই হবে না’।
আরও পড়ুনঃ SSC কাণ্ডে আরও চাপে রাজ্য! এবার শিক্ষা দফতরের কর্তাদের বিরুদ্ধে ‘কড়া’ আইনি পদক্ষেপ
এদিন মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে বলার সময় শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মুখে মানিক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির কথা উঠে আসে। শুভেন্দু বলেন, ‘একজন দাঁড়িওয়ালা লোক আছে। নন্দীগ্রামে আমার বিরুদ্ধে লিফলেট দিতে গিয়েছিল, মানিক মণ্ডল। তাঁরাই দাঁড়িয়ে থেকে অশান্তি পাকাচ্ছে’।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানিক মণ্ডল নন্দীগ্রামে মানিক ফকির নামে পরিচিত। জমি আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। সেই সময় ছোট ছোট তথ্যচিত্র বানিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে মানিককে শেষবারের মতো নন্দীগ্রামে দেখা যায়। সেই বছরের ১৫ আগস্ট জমিয়তে উলেমা-ই-হিন্দের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় সেই মানিকের নামই উঠে এল শুভেন্দুর মুখে।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যের নানান প্রান্তে প্রতিবাদ হচ্ছে। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জঙ্গিপুর, আমডাঙা, মুর্শিদাবাদ। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এবার সেখানকার অশান্তি নিয়েই সরব হলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখান থেকে নতুন করে আর একটিও ইট পড়ার শব্দ আসবে না বলে দাবি বিজেপি বিধায়কের।