বাংলাহান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগেই শুরু হয়ে গেছে একে অন্যকে বাক্যবাণে তীব্র আক্রমণ। এবার তৃণমূল (All India Trinamool Congress) বিজেপির (Bharatiya Janata Party) রেষারেষির জের ছড়ালো বনগাঁতেও (Bongaon)। তৃণমূল হোক বা বিজেপি, কেউ কারোর জন্য এক টুকরো জমি ছাড়তে রাজী নয়। ফলে, ভোটের বাদ্যি বাজার আগেই প্রায়শই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বঙ্গের নানান প্রান্ত।
ইতিমধ্যে, এই শুক্রবার বনগাঁর গাঁড়াপোতা গ্রামের দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক (Members of lagislative assembly) স্বপন মজুমদার শাসক দলের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, ”পঞ্চায়েত ভোট সুষ্ঠুভাবে না হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে। ভোটের দিন ভোট করতে আসলে তৃণমূল হোক বা প্রশাসন, চ্যালা কাঠ পিঠে দেবেন৷” এর থেকে স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে, ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে তিনি প্রবল ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়ে এই ধরণের হুঁশিয়ারি পূর্ণ বক্তব্য রাখছেন।
অন্যদিকে তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে এক তৃণমূল বিধায়ক বলেন যে, বিজেপি নিশ্চই ভয় পেয়ে গেছে। তাঁরা বুঝতে পেরে গেছে যে তাঁরা কোনো ভোট পাবেন না। আর তাই জন্যই তিনি এই রকম অশ্লীল কথা বলে সাধারণ লোককে ভয় পাওয়াচ্ছেন। তার কথায়, ”বিজেপি বিধায়করা বুঝতে পারছেন তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে।”
সূত্রের খবর, শুক্রবারের এই সভার মূল বিষয় ছিল, আবাস যোজনার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দুর্নীতির প্রসঙ্গ। ওইদিন বিজেপির নেতা, কর্মীরা আবাস দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগদানের পরিকল্পনা করছিলেন। এই সভায় স্বপন মজুমদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামপদ দাস৷ এমনকী, সেইদিনই বিজেপি বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে তিনি জুতো মারবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি আরও বলেন যে, প্রধানকে বুঝিয়ে দিতে চাই, সাবধান না হলে যেসব মানুষ ঘর পায়নি, তাঁরা আপনাকে অফিস থেকে টেনে রাস্তায় নিয়ে আসবে৷ তারপর জুতোপেটা করবে। এখনও সাবধান হয়ে যান।” এছাড়াও তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসকে তিনি ‘বেইমান, অপদার্থ’ বলেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করতেও ছাড়েননি।