বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের (Bidhansabha Election)পর থেকেই সংবাদের শিরোনামে থাকেন চন্দনা বাউরি। কখনও বিজেপির (BJP) একমাত্র আদিবাসী বিধায়ক হিসাবে, কখনও বা নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্য। এবার ওই বিজেপি বিধায়কের স্বামী, মেয়ে ও শ্বশুরের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেলেন চন্দনা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করছে তৃণমূল।
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার কেলাই গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মনসা পুজো করাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিধায়ক চন্দনা বাউরির স্বামী, মেয়ে ও শ্বশুর। এই ঘটনার পরই পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে আজ গঙ্গাজলঘাটি পুলিশের দ্বারস্থ হন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক। চন্দনার অভিযোগ, তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরির অভিযোগ, গতকাল গ্রামে মনসা পুজো হচ্ছিল। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ গ্রামের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বিধায়কের স্বামী শ্রাবণ বাউরি, মেয়ে বর্ণা বাউরি ও শ্বশুর সুনীল বাউরি। সেই সময়ই স্থানীয় বাসিন্দা দীনেশ বাউরি ও অষ্টম বাউরি সহ বেশ কয়েকজন মিলে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় তাঁদের উপর।
স্বামী শ্রাবণ বাউরি ও শ্বশুর সুনীল বাউরিকে রাস্তায় ফেলে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ উঠছে। গণ্ডগোলের শব্দ শুনেই বিধায়ক চন্দনা বাউরি বাড়ি থেকে ছুটে ঘটনাস্থলে যান। ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে হামলাকারীরা।
আজ দুপুরে গঙ্গাজলঘাটি থানায় হাজির হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক। তাঁর দাবি তৃণমূলের মদতেই এই হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তিনি বলেন, তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকলেও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন জানান তিনি। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি বিধায়ক হিসাবে এলাকার উন্নয়ন না করায় গ্রামের লোকজনের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হয়ে থাকতে পারে। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তবে এই ঘটনার পিছনপলে তৃণমূলের কোনও হাত নেই বলেই দাবি শাসক দলের।