বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে মোট পাঁচজন সাংসদকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। এদের মধ্যে একজন ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাসগুপ্তকে তারকেশ্বর থেকে ময়দানে নামানো হয়েছিল। আর নির্বাচনের আগেই তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। এছাড়াও বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকারকে একুশের বিধানসভার টিকিট দিয়েছিল বিজেপি।
লোকসভার এই চারজন সাংসদের মধ্যে একমাত্র বাবুল সুপ্রিয়ই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাকিরা শুধুই সাংসদ। তবে এনারা কেউই নির্বাচনের আগে ইস্তফা দেন নি। আরেকদিকে এই চার সাংসদের মধ্যে দুজন নিশীথ প্রামাণিক আর জগন্নাথ সরকার এবারের নির্বাচনে জিতেছেন। বাকি দুজন বাবুল সুপ্রিয় আর লকেট চট্টোপাধ্যায় জয়ী হতে পারেন নি। নিশীথ আর জগন্নাথের জয়ের পরই প্রশ্ন উঠছিল যে, তাঁরা সাংসদ পদে থাকবেন না বিধায়ক হবেন?
আজ সেই জল্পনার অবসান হয়। নিশীথ প্রামাণিক আর জগন্নাথ সরকার দুজনেই আজ বিধানসভায় গিয়ে নিজেদের ইস্তফা দিয়ে আসেন। দুজনের ইস্তফার পর বিজেপির সদস্য সংখ্যা কমে ৭৫ এ দাঁড়াল। আরেকদিকে, দুজনের ইস্তফার পর বিরোধীরা তাঁদের কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি। তাঁদের একটাই প্রশ্ন, যখন ইস্তফাই দেবেন তাহলে দাঁড়ানোর কোনও দরকারই ছিল না। কারণ একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাতে অনেক খরচ।
আরেকদিকে, বিজেপির সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক আজ জানান যে, কেন বিজেপি সাংসদের এবার নির্বাচনের টিকিট দিয়েছিল। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিশীথবাবু বলেন, ‘গতবার আমাদের কাছে মাত্র তিনজন বিধায়ক ছিলেন। তাঁরা কেউই পরিষদীয় রাজনীতিতে অভিজ্ঞ ছিলেন না। সাংসদদের অভিজ্ঞতা থাকার জন্য তাঁদের প্রার্থী করা হয়েছিল দলের পক্ষ থেকে।
নিশীথবাবু আরও বলেন, দলের সিদ্ধান্ত মেনেই আমরা ইস্তফা দিয়েছি। বর্তমানে বিধানসভা বিজেপির অনেক অভিজ্ঞ বিধায়ক আছেন, যারা সাধারণ মানুষের আওয়াজ তুলতে পারবেন এবং গোটা রাজ্যে চলা হিংসার প্রতিবাদও করতে পারবেন। নিশীথবাবু এও বলেন যে, আমরা উপনির্বাচনে আরও বেশি ব্যবধানে জিতব। কারণ মানুষ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অবগত। এবার সেটার জবাব দেবে তাঁরা।