বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলমের খোঁচায় বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬০০০ চাকরি। কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি, সেই কারণে চাকরি খুইয়েছেন সকলে। এই আবহে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। সত্যিই ওএমআর শিট পোড়ানো হয়েছে নাকি লুকিয়ে রাখা হয়েছে? এবার এই প্রশ্ন তুললেন তিনি।
এসএসসি মামলায় তোলপাড়! এর মাঝেই বড় প্রশ্ন তুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎই প্রথম প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর ডিভিশন বেঞ্চ হয়ে সেই জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি। শীর্ষ আদালতও প্যানেল বাতিলের রায়ই দিয়েছে। এই আবহে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন সাবেক বিচারপতি তথা তমলুকের সাংসদ।
অভিজিৎ (Abhijit Gangopadhyay) বলেন, ‘সিবিআই যে মাদার ডিস্ক উদ্ধার করেছে সেখানে সব পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট রয়েছে। যে দুর্বৃত্তরা জেলে রয়েছেন, তাঁরা ওএমআর পুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ও পুড়িয়ে দিয়েছেন। তবে সেটাও কতখানি সত্যি কথা বা সত্যি লুকিয়ে রাখার জন্য বলা হচ্ছে, সেটাও বোঝার দরকার রয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ পরকীয়ার টানে চাকরি থেকে ইস্তফা! একসঙ্গে পালালেন মেদিনীপুরের একই স্কুলের শিক্ষিক-শিক্ষিকা!
কারণ হিসেবে বিজেপি (BJP) সাংসদ দাবি করেন, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এমনটা বলার পরেও ওই ওএমআর শিট থেকে ‘রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টে’র উত্তর দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অভিজিটের কথায়, ‘আমার কাছে এই মামলাও এসেছিল। সুতরাং, পুড়িয়ে ফেলেছে অথবা নষ্ট হয়েছে, আমি সেটা এখনও মনে করছি না। এটা আমার মনে হচ্ছে, সবটা লুকিয়ে রাখা বা গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে’।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট (OMR Sheet) পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সিবিআই তখন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে এমনটাই জানায়। আদালত তখন নির্দেশ দেয়, কার নির্দেশে পোড়ানো হয়েছে এই ওএমআর শিট? এর তদন্ত করতে হবে। এবার ফের একবার এই নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন অভিজিৎ।
উল্লেখ্য, ২৬০০০ চাকরি বাতিল কাণ্ডে এর আগেও মুখ খুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের এই প্রাক্তন বিচারপতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন অভিজিৎ (Abhijit Gangopadhyay)। সেই কমিটিতে কারা কারা থাকতে পারেন সেকথাও বলেছিলেন তিনি।