‘সত্যিকারের হিন্দুর বাচ্চা হলে কেউ এই সব সংহতি মিছিলে যাবে না’, তৃণমূলকে তোপ দিলীপের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাত পোহালেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন (Ayodhya Ram Mandir Inauguration)। ৫৫০ বছরের অপেক্ষা শেষে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। আর সেই উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবী জুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা তুঙ্গে উঠেছে। অনুষ্ঠানকে গেরুয়া শিবিরে জোর তোড়জোড়। বাদ যায়নি এ রাজ্যও। গতকাল বাংলা জুড়ে একাধিক কর্মসূচী রয়েছে বঙ্গ বিজেপির। ওদিকে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা দিনই সোমবার কলকাতায় সর্বধর্ম মিছিলের (Sanghati Michil) ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

“আগামী ২২ জানুয়ারী কলকাতায় ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করা হবে।” এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মমতার এই মিছিল নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রামমন্দির উদ্বোধনের দিন তৃণমূল বিশেষ কর্মসূচি পালন করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২২ জানুয়ারি একটি মিছিল করব আমি, এটা দলের প্রোগ্রাম। তৃণমূলের প্রোগ্রাম। নিজে একটা মিছিল করব আমি।”

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “প্রথমে নিজে কালীমন্দিরে যাব আমরা। সবাই যাবে না। আমি যাব। সেখানে মায়ের কাছে পুজো দিয়ে হাজরা থেকে সর্বধর্মের মানুষকে নিয়ে মিছিল করে পার্ক সার্কাস ময়দানে গিয়ে সভা করব। কালী মাকে ছুঁয়ে, মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, ওখানে অনেক গির্জাও রয়েছে, সব ছুঁয়ে যাব, সকলকে নিয়ে এই সভা করব। তৃণমূলের সভা, তবে শুভান্যুধায়ী, সাধারণ মানুষ, তারাও আসতে পারেন সংহতি মিছিলে।” আর এবার এই মিছিল নিয়ে জোর আক্রমণ শানালেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

সর্বদাই নিজের চাঁচাছোলা মন্তব্যের জন্য ফেমাস ঘোষ বাবু। রবিবার সাতসকালে খড়গপুরে এক চা চক্রে যোগ দেন বিজেপি সাংসদ। সেখানে সংহতি মিছিলে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই সংহতির নামে, এ রাজ্যের সব জয়াগায় দাঙ্গা হয়েছে। সেই দেশভাগের পর থেকে সংহতির আয়োজন চলছে, আগেও ছিল। তাহলে কেন সংহতি হয়নি? যারা সংহতি মিছিলের নামে, সংহতি নষ্ট করেন, তারা আবার রাস্তায় নেমেছেন। আর রামের বিরুদ্ধে নেমেছেন!”

দিলীপের হুঙ্কার, ‘হিন্দু সমাজ এই ধরণের চালাকি, বদমায়েশি আর বরদাস্ত করবে না। যদি সত্যি সত্যি হিন্দুর বাচ্চা হয়, তাহলে কেউ এই সব সংহতি মিছিলে যাবে না। যেখানে জেহাদি, রোহিঙ্গারা হাঁটবে, অনুপ্রবেশকারীরা হিন্দু মন্দির ভাঙবে, দাঙ্গা করবে, সেই সংহতি মিছিলে কোনও হিন্দু সমাজের লোক যাবে না। যাবে কেবল তারাই যারা তৃণমূলের উচ্ছিষ্টভোগী।’

পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘হিন্দু সমাজের কোনও উৎসবে কোনও ঝামেলা- দাঙ্গা হয় না, এটাই ইতিহাস। যারা এই উৎসবকে নিয়ে রাজনীতি করছে, উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, দাঙ্গা করার চেষ্টা করছে, তাদের নিয়ে সতর্ক থাকুন। গোটা হিন্দু সমাজ শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব করবে। কেউ বিরোধিতা করতে এলে তাকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।’

dilip ghosh

আরও পড়ুন: রেডি রাখুন ছাতা! একটু পরেই বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায়, নামবে তাপমাত্রাও: আবহাওয়ার খবর

বিজেপি নেতা বলেন, ‘খড়গপুরে এসে শুনলাম, ‘যেখানে পুলিশ ধমকাচ্ছে। উৎসবের আয়োজন করতে দিচ্ছে না। মাইক লাগাতে দিচ্ছে না, ডেকরেটরদের ধমকাচ্ছে। আমি হিন্দু সমাজের কাছে আবেদন করব, ৫০০ বছর পরে রাম নিজের বাড়িতে আসছেন, আপনারা জোরদার উৎসব করুন। আমরা একদিনের উৎসব করছি, যদি পুলিশ তাতে বাধা দেয়, মাইক খুলতে আসে, পুলিশকে ঘুরে তার প্যান্ট খুলে নিন, বাকি আমি দেখে নেব, বিজেপি দেখবে।’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর