বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক ঘোষণা করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মূলত, ওই দিন তিনি নোট বাতিলের (Demonetization) প্রসঙ্গটি সামনে আনেন। যার জেরে রাতারাতি তৎকালীন প্রচলিত ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যায়। পাশাপাশি, পরে আবার নতুন ৫০০ টাকা সহ ২,০০০ টাকার নোটের প্রচলনও করা হয়।
এদিকে, প্রথম থেকেই মোদী সরকারের এই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত বারংবার একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এমনকি, এহেন সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়েও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তবে, এবার এই প্রসঙ্গে জোরদার দাবি তুললেন এক বিজেপি সাংসদ। শুধু তাই নয়, একইসাথে ২,০০০ টাকার নোট বাতিল করার পক্ষেও সোচ্চার হয়েছেন তিনি।
মূলত, বিহারের বিজেপি নেতা তথা সাংসদ সুশীল কুমার মোদী সোমবার রাজ্যসভায় এই দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ধীরে ধীরে ২,০০০ টাকার নোট বন্ধই করে দেওয়া উচিত। এই জন্য নাগরিকদের ২ বছর সময় দিয়ে নোটগুলিকে জমা দেওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি, বর্তমান পরিস্থিতিরও অবতারণা করেন ওই বিজেপি সাংসদ।
এই প্রসঙ্গে সুশীল কুমার মোদী জানান, এখন দেশের অধিকাংশ ATM থেকে রীতিমতো উধাও হয়ে গিয়েছে ২,০০০ টাকার নোট। এমনকি, শীঘ্রই এই নোটের আইনি ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে বলে গুজবও উঠেছে। ইতিমধ্যেই RBI তিন বছর আগে থেকে এই নোট নতুনভাবে ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে। এমতাবস্থায়, এই ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবিও তুলেছেন তিনি।
এদিকে, ২,০০০ টাকাকে অনৈতিক ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাঁর মতে, ২,০০০ টাকার নোট মজুদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই নোট মাদকদ্রব্য এবং টাকা পাচারের মত ঘটনায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এমনকি, এই নোটের মাধ্যমে কালো টাকার ব্যবহার বাড়ছে বলেও জানান মোদী। তাই, তিনি এই নোট বন্ধের পক্ষে সরব হয়েছেন। সর্বোপরি, আদৌ এই নোট প্রচলনের কোনো কারণ ছিল না বলেও মনে করেন এই বিজেপি সাংসদ। মোদী জানান, “১,০০০ টাকার ব্যবহার বন্ধ করে ২,০০০ টাকার নোট নিয়ে আসার আদৌ কোনো যুক্তি ছিল না।”