বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুদিন আগের ঘটনা, হঠাৎ বালি স্টেশনে (Bally Station) ট্রেন থামতেই কামড়ায় উঠে পড়লেন জনপ্রিয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। ট্রেনের (Train) কামরায় তাকে দেখেই হতভম্ব সমস্ত যাত্রীরা। রোজকার মতো ট্রেনে চেপে সবাই সবার গন্তব্যের পথে রত। এরই মাঝে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিজেদের সহযাত্রী হিসেবে দেখে বেজায় কৌতূহলী হয়ে উঠলেন তারা।
স্বাভাবিকভাবেই একসময়ের দাপিয়ে বেড়ানো অভিনেত্রী তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদকে (BJP MP) দেখে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে ছুটে আসেন কিছুজন। কেউ কেউ আবার টুক করে সেলফি তুলে নিলেন। আস্তে আস্তে নেত্রীকে দেখে আরও উৎসাহের সৃষ্টি হয়। অন্য কামড়াতেও সাংসদের উপস্থিতির খবর ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে আবার সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা খবর পেয়ে নেত্রীকে দেখতে ভিড় জমান। অনেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক পৌঁছে যায় রিষড়া স্টেশনেও।
প্রসঙ্গত, রবিবার রামনবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে অশান্তি ছড়ায় হুগলীর রিষড়াতে। উত্তপ্ত গোটা এলাকা। ট্রেনে চেপে সেখানেই পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন লকেট। সড়ক পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর অনেক আগেই তাদের আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই কারণেরই ট্রেনে যাওয়ার কৌশল অবলম্বন করে রিষড়া পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন লকেট।
এই প্রসঙ্গে লকেট বলেন, “গন্ডগোলে বেশ কয়েকজন দলীয় সমর্থক আক্রান্ত হয়েছেন। এলাকায় আতঙ্ক রয়েছে। একই সঙ্গে যারা আক্রান্ত পুলিশ তাদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করছে। আর বিজেপির নেতৃত্ব সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। এই সক্রিয়তা আগে দেখানে সেখানে গন্ডগোল আটকানো যেত। আমি সেই এলাকায় পৌঁছাতে চাইছি। যেহেতু সড়ক পথে গেলে বাঁধার মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তাই ট্রেনে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এত কিছু করার পরও রিষড়া স্টেশন থেকে পুলিশ তাকে বেরতে দেয়নি। প্রায় ঘন্টাখানেক সেখানে অবস্থান করে ফের ট্রেনে চেপেই বালিতে পৌঁছান সাংসদ। বিজেপির বাকি নেতৃত্বও নানা কৌশল অবলম্বন করে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছিলেন।
এদিকে ট্রেনে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দেখে বেজায় উচ্ছাসিত যাত্রীরা। কোন্নগর স্টেশনে নামার আগে এক যাত্রী বলেন, “ট্রেনের মধ্যে এইভাবে সেলিব্রিটিদের দেখা যায় না। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দেখে বেশ ভালই লাগলো। তার একটা ছবি মোবাইলে তুলেছি।” অন্য এক যাত্রী আবার ফোনে ভিডিও কল করে পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেন। লাইভও করেন।