উস্কে দিলেন বিতর্ক! ভোটে জিতেই ফের পৃথক রাঢ় বঙ্গের দাবি BJP সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র গলায়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলা মানেই দিকে দিকে বঞ্চনার অভিযোগ। উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত এই অভিযোগ হামেশাই উঠে আসে। ওদিকে সাম্প্রতিককালে উত্তর হোক কিংবা দক্ষিণ, একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতার মুখে উঠে এসেছে বাংলা ভাগের তত্ত্ব। এবার ফের সেই একই বিতর্ক উস্কে দিলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)।

পৃথক রাঢ় বঙ্গের দাবি BJP সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র (Soumitra Khan)

সদ্য কেটেছে লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা ভোটে যে ১২ খানা কেন্দ্র বিজেপি (Bharatiya Janata Party) নিজের দখলে রাখতে পেরেছে তার মধ্যে অন্যতম বিষ্ণুপুর। তৃণমূল প্রার্থী তথা সৌমিত্র খাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলকে পরাজিত করে ভালো ভোটে জয়লাভ করেছেন সৌমিত্র। বর্তমানে তিনবারের সাংসদ তিনি। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি প্রবীণতম সাংসদও বটে। তবে তারপরও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তরফে কোনো মন্ত্রীত্ব দেওয়া হয়নি সৌমিত্রকে। কেন এই অবহেলা? এই নিয়ে চর্চাও চলেছে বিস্তর।

   

এর আগে একাধিকবার বাংলার জঙ্গল মহল সহ রাঢ় বঙ্গকে (Rar Banga) নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ হয়েও নিজের দাবি থেকে পিছু হটলেন না সৌমিত্র। এদিন সমাজমাধ্যমে গেরুয়া সাংসদ লেখেন, ‘আমি মল্লভূমের ছেলে, তাই আমাকে ভাবতেই হয় জঙ্গলমহল ও রাঢ় বাংলার মানুষের কথা। এখনো সময় আছে রাঢ় বাংলা ও জঙ্গলমহল কে বাঁচানোর।’

সৌমিত্রর কথায় তার দাবি কার্যত স্পষ্ট। নিজের এলাকা, ও সাধারণ মানুষদের ‘উন্নয়নের স্বার্থে’ ফের একবার রাঢ় বঙ্গ ও জঙ্গলমহলকে নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবির ইঙ্গিতই দিলেন সৌমিত্র। এর আগেও বিজেপি নেতার গলায় শোনা গিয়েছে শুধুমাত্র কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার উন্নয়ন হবে আর বাকি জেলাগুলি এই তৃণমূল আমলে চিরকাল বঞ্চিতই থেকে যাবে তা হতে পারে না। এবার লোকসভা ভোট কাটতেই ফের নিজের লেখায় আলাদা রাজ্যের দাবিই উস্কে দিলেন সৌমিত্র।

mp soumitra kha

আরও পড়ুন: ‘কাঁড়ি কাঁড়ি যৌনতা, একগাদা যৌন সম্পর্ক’, ফুঁসে উঠলেন প্রাক্তন TMC সাংসদ মিমি!

প্রসঙ্গত এর আগে এই ইস্যুতেই বিষ্ণুপুর সাংসদ বলেছিলেন ‘ভারতীয় জনতা পার্টি রাঢ় বঙ্গ না চাইলেও আমি চাই”। এবারও দলের থেকে খানিক ‘বেসুরো’ হলেও নিজ দাবিতেই অটল বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর