বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সভা থেকে এই নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একযোগে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ আনেন। এবার এই ইস্যুতে পাল্টা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), দু’জনকেই নিশানা করেন তিনি।
অভিষেককে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর (Sukanta Majumdar)
শুক্রবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ইস্যু নিয়ে সরব হন সুকান্ত। বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, নির্বাচন আসছে দেখে হিন্দু বাঙালিদের নাম কাটতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল চক্রান্ত করে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী হিন্দিভাষী ভোটারদের নাম কাটার কাজ শুরু করেছে বলে দাবি করেন তিনি। বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, যেসব আসনে কম মার্জিনে তৃণমূল হেরেছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই এই কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
এখানেই না থেমে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তীব্র আক্রমণ শানান সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, পচা মাল, গন্ধ বেরোচ্ছে। বিজেপি তাঁকে নেবেই না। বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়ে পারেননি, সেই কারণে এই কথা বলছেন বলেও তোপ দাগেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘এই’ দিনই সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার চূড়ান্ত ফয়সালা? শুনানি নিয়ে উদ্বেগ সরকারি কর্মীদের! কেন?
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে অভিষেককে নিয়ে নানান জল্পনা কল্পনা চলেছে। তৃণমূলের থেকে কি তিনি দূরত্ব তৈরি করছেন? অনেকের মনে উঁকি দিয়েছে এই প্রশ্ন। এই আবহে তৃণমূল সেনাপতি নিজে বলেন, বাজারে রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে (BJP) যাবে। আরে আমার গলা কেটে দিলে, কাটা গলা থেকেও ‘মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ’ বেরোবে। আমি বেইমান নই।
অভিষেক জোর গলায় বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দিলেও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) গলায় শোনা গিয়েছে অন্য সুর। তাঁর দাবি, বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়ে পারেননি বলে এই কথা বলছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই দাবি নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।