বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা দেশে হুহু করে বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা। আমজনতা থেকে অভিনেতা, অভিনেত্রী এবং রাজনেতারাও রেহাই পান নি এই মারক ভাইরাসের প্রকোপ থেকে। এবার রাজ্যের আরও এক সাংসদ আক্রান্ত হলেন করোনায়। তিনি নিজেই এই খবর জানান। জলপাইগুড়ির বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় (Jayanta Kumar Roy) ট্যুইট করে জানান, ‘সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই নির্দেশ অনুসারে কোভিড টেস্ট করার পর আজ রিপোর্ট আসে ‘পজিটিভ’ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনের জন্য গৃহবন্দী (self quarantine) থাকছি।” আরেকটি ট্যুইট করে তিনি লেখেন, ‘আমি প্রত্যেককে অনুরোধ করছি গত সাত দিনে আমার সাথে যারা সংস্পর্শে এসেছিলেন অনুগ্রহ করে আপনারা প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন।”
সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই নির্দেশ অনুসারে কোভিড টেস্ট করার পর আজ রিপোর্ট আসে 'পজিটিভ'
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনের জন্য গৃহবন্দী (self quarantine) থাকছি।— Dr. Jayanta Kumar Roy (@JayantaRoyJPG) September 11, 2020
আরেকদিকে, আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রালয় সমস্ত রাজ্য আর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যে, করোনার লক্ষণ থাকা যতগুলো রোগীর র্যাপিড টেস্টে রেসাল্ট নেগেটিভ এসেছে, তাঁদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। এরফলে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত প্রতিটি ব্যাক্তির খোঁজ পাওয়া যাবে আর সংক্রমণ ছড়ানো থেকে রোখা যাবে।
ICMR আর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের নির্দেশিকায় পরিস্কার বলে দেওয়া হয়েছে যে, আরটি তে সংক্রমণ মুক্ত পাওয়া রোগীদের মধ্যে পরীক্ষার দুই থেকে তিনদিন পর আবারও লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তাঁদের আরটি-পিসিআর এর মাধ্যমে আবারও পরীক্ষা করানো দরকার। মন্ত্রালয় জানিয়েছে যে, যাঁদের সংক্রমণ মুক্ত হওয়ার রিপোর্ট ভুল এসেছে, সময়মত তাঁদের খোঁজ করে আইসোলেট করতে হবে, আর হাসপাতালে ভরতি করানো হবে।
সরকার এই নির্দেশিকা সেই সময় জারি করেছে, যখন দেশের ৬০% মামলা শুধুমাত্র চারটি রাজ্য থেকেই সামনে এসেছে। বুধবার মহারাষ্ট্রে ২৩ হাজার ৫৭৭ টি মামলা সামনে এসেছে। আর অন্ধ্রপ্রদেশে ১০ হাজার ৪১৮ টি মামলা সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার গোটা দেশে ১ হাজার ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এরমধ্যে ৬৯ শতাংশ মৃত্যু পাঁচটি রাজ্যে হয়েছে। ওই রাজ্য গুলো হল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্ল আর অন্ধ্রপ্রদেশ। এদের মধ্যে ৩২ শতাংশ মানুষের মৃত্যু শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই হয়েছে।
মন্ত্রালয় এও জানিয়েছে যে, সংক্রমণের মামলায় নজর রাখার জন্য রাজ্যস্তরীয় আর জেলাস্তরীয় টিম অথবা আধিকারিকদের তরফ থেকে তৎকাল একটি নজরদারি প্রক্রিয়া স্থাপিত করা হোক। এই দল রাজ্য আর জেলায় নিয়মিত ভাবে হওয়া র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের তথ্য গুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করুক। এর সাথে সাথে এটাও নির্ধারিত করুক যে, বিনা লক্ষণের রোগী গুলো সংক্রমণ মুক্ত হয়েছে, আর তাঁদের পরীক্ষা করানোয় যেন কোনোভাবে বিল্মব না হয়।