বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সামনে এসেছে ভোট-পরবর্তী হিংসার একের পর এক ঘটনা। কোথাও ঘরছাড়া বিজেপি পরিবার কোথাও বা খুন হয়েছেন রাজনৈতিক কর্মীরা। কখনও কখনও দিতে হয়েছে জরিমানা কখনও আবার অচেনা দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়েছেন রাজনৈতিক কর্মীদের বাড়িতে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো থামছে না তাপ উত্তাপ। ফের একবার এমনই একটি ঘটনা ঘটল হাওড়ার আমতা এলাকায়। দিন দুপুরে মাঝরাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির যুব মোর্চার অবজারভার পিন্টু বাড়ুইকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েকজন দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
পিন্টু বাড়ুই জানান তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। একটি শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সাথে সাথে বিজেপির রাজ্য কমিটির যুব মোর্চার অবজারভারও তিনি। নির্বাচন পরবর্তীকালে ফল প্রকাশের পর থেকেই তার বাড়িতে এসে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে শুরু করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রথম প্রথম বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো ফল হয়নি বলেই দাবি করেন তিনি। এদিন ব্যাংকের কিছু কাজ থাকায় মোটর বাইক নিয়ে আমতা স্টেট ব্যাংকে যান পিন্টু এবং তার স্ত্রী।
দুপুর ১ টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন তারা। ঠিক সে সময় আমতা বাগনান রোডে গাজীপুর এলাকায় একটি মারুতি ৮০০ গাড়ি তাদের ফলো করতে থাকে বলে অভিযোগ। হঠাৎই গাজীপুর কালী মন্দিরের কাছে ড্রাইভার নাম ধরে ডাকায় বাইকের গতি কমান পিন্টুবাবু। আর তার পরেই তিনি দেখতে পান গাড়ির ভিতর বসে থাকা তিনজনের মধ্যে একজনের হাতে রয়েছে বন্দুক। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির গতি বাড়িয়ে সেই জায়গা থেকে পালিয়ে আসেন তিনি। পালিয়ে আসার সময়ও হুমকি দিতে থাকে ওই দুষ্কৃতীরা, “এভাবে কতদিন বাঁচবি। আমরা দেখে নেবো।” এরপর আমতা থানায় ওই অচেনা দুষ্কৃতীদের নামে এফআইআরও দায়ের করেন পিন্টু বাড়ুই এবং তার স্ত্রী নিতু বাড়ুই।
পিন্টু বাবু বলেন, ” আমাকে বারবার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমার অপরাধটা কি?আমার অপরাধ আমি বিজেপির রাজ্য কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছি? আমি তো গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রচারে অংশগ্রহণ করেছি এছাড়া আমার অন্যায়টা কি?”
তিনি আরও বলেন, “যদি কোন অন্যায় করে থাকি তাহলে প্রশাসন আমাকে শাস্তি দিক। কিন্তু এভাবে দুষ্কৃতী দিয়ে বারবার আমাদের মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে। যেকোনও মুহূর্তে খুন হয়ে যেতে পারি। তাই প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষা করুন। রাজ্যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি কাতর আবেদন করছি।”
পিন্টু বাড়ুইয়ের মত অনেকেই হয়তো আতঙ্কের প্রহর গুনছেন দিনের পর দিন। এই রাজনৈতিক হিংসা কবে থামবে সেটাই এখন আসল প্রশ্ন?
‘দলের মধ্যেই ব্যাপক টাকার লেনদেন…’, মদনের বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড়