বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের প্রেস্টিজ ফাইটের আজ অন্তিম দিন। ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে রাজ্যের ২৯০টি কেন্দ্রের প্রার্থীদের। সকাল থেকেই বিজেপির পার্টি অফিস ছিল কর্মী-সমর্থকে ভরপুর। মুরলিধর থেকেই হেস্টিংস, সর্বত্রই প্রায় একই চিত্র লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তবে বেলা গড়াতেই সেখানকার চিত্রে বদল ঘটতে থাকে।
এই দুই পার্টি অফিসে কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে হাজির হয়। কারো কারো হাতে ছিল গেরুয়া রঙের আবিরও। তারা ধরেই নিয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনেও জয় নিশ্চিত। মুরলিধর সেন স্ট্রিটের অফিসের বাইরে দলের তরফে টাঙানো হয়েছিল সামিয়ানাও। সকাল ৮টা থেকে প্রাথমিক গণনায় দেখা যাচ্ছিল ঘাসফুল বনাম পদ্মফুলের কাটার টক্কর। কিন্তু বেলা গড়াতেই ছবিতে ব্যাপক বদল ঘটল। দিকে দিকে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থীরা লিড দিচ্ছেন, টিভির পর্দায় তা দেখে পার্টি অফিস ছাড়তে থাকেন গেরুয়া শিবিরের দলীয় কর্মীরা।
তখনও মুরলিধর এবং হেস্টিংসের পার্টি অফিসে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা (BJP)। পরে তারাও চলে যেতে থাকেন। গেরুয়া শিবিরের এক শীর্ষ নেতা জানান, ‘এরকম ফল আসা করিনি, কেন এমনটা হলে তা পর্যালোচনা হবে, তবে সময় এখনও আছে, দেখা যাক কি হয়’।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে সমস্ত ছক ভেঙে পোস্টাল ব্যালটের প্রাথমিক ট্রেন্ডে তৃণমূলের এগিয়ে থাকার প্রবণতা শুরু থেকেই দেখা গিয়েছিল। বেলা গড়াতেই এগিয়ে থাকার নিরিখে ব্যবধান আরও বাড়াতে থাকে শাসকদলের। দুপুর ১২টা বাজতেই এবারের ভোটে কাঙ্খিত লক্ষ্য মাত্রা ছুঁয়ে ফেলে মমতা সরকার।
শেষ পাওয়া আপডেটে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়া তো দূর কি বাত। প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যৎবাণী ১০০-র গণ্ডি পেরোতে পারল না বিজেপি। ২০৭ আসনে এগিয়ে তৃণমূল, সেখানে বিজেপি মাত্র ৮১টি আসনে এগিয়ে। অন্যদিকে ২টি আসনে এগিয়ে সংযুক্ত মোর্চা।