বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ত্রিপুরার (Tripura) রাজনীতিতে তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) পা রাখার পর থেকেই রাজ্যে উত্তাপ বেড়েছে। প্রথমে অভিষেকের সফরের আগে তাঁর ব্যানার ছেঁড়া এবং তাঁর কনভয় রুখে দিয়ে বারবার বিক্ষোভ দেখানো থেকে শুরু করে গাড়িতে হামলা। সবই দেখা গিয়েছে ত্রিপুরার রাজনীতিতে। আর এই নিয়ে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূলও। ঘাসফুল শিবিরের দাবি ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। বিপ্লব দেব বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, ত্রিপুরার আমবাসা যাওয়ার পথে তৃণমূলের যুব নেতা-নেত্রীদের উপর হামলা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি তাঁদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার তৃণমূলের এই দাবির পাল্টা দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকেও।
সোমবার ত্রিপুরা বিজেপির তরফ থেকে একটি অফিসিয়াল বয়ান জারি করা হয়েছে। সেখান থেকে তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র তথা বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেছেন, তৃণমূল ত্রিপুরায় জয়ের বৃথা স্বপ্ন বুনছে। আসলে তাঁরা ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃণমূলকে সর্বভারতীয় দলের তকমা পাওয়ানোর উদ্দেশ্যে রয়েছে।
সুশান্তবাবু দাবি করেন, তৃণমূলের উপর বিজেপির তরফ থেকে কোনও হামলা চালানই হয়নি। ওঁরা মানুষকে বোকা বানাতে এই নাটক করছে। তিনি বলেন, এখানে সুবিধা করতে না পেরে কলকাতায় SSKM-এ গিয়ে নতুন নাটক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ওদের চাটার্ড বিমানে করে নিয়ে আসা-যাওয়া হচ্ছে। দেবাংশু বলছে মাথার পিছনে পাথর মারা হয়েছে। আর ব্যান্ডেজ বাধা হয়েছে মাথার সামনে। সুশান্তবাবু আরও বলেন, পৃথিবীর মধ্যে উনিই একজন ব্যক্তি, যার রক্ত কালো।
সুশান্তবাবু বলেন, আমরা যদি ওদের উপর হামলা করতাম তাহলে ওঁরা কী পুলিশকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে পারত? আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জানোয়ার” বলতে পারত। ওঁরা স্লোগান তুলতে পারত ‘বিজেপির চামড়া গুঁটিয়ে নেব আমরা”? সুশান্তবাবু বলেন, আসলে ওদের কাজ ছিল নাটক করা। ওঁরা করেছে আর চলে গিয়েছে। এবার ওখান থেকে নাটক শিখে এসে আবারও নাটক করবেন রাজ্যে।