বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধি অভিযোগ এনে এদিন বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপিএ যুবমোর্চা সংগঠন। পুলিশের বাধা, ব্যারিকেড ভেঙে নেতাকর্মীদের এগিয়ে যাওয়া, এসব মিলিয়ে এদিন কার্যতই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সল্টলেকের বিকাশ ভবন এলাকা। বিজেপির দাবি পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধস্তাধস্তি এবং জলকামানের আঘাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী।
এদিনের মিছিলে দিল্লি থেকে এসে যোগ দেন বিজেপি যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্ব সূর্য। ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালরাও। কিন্তু কোথাও দেখা মেলেনি শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের। এদিন করুণাময়ী মোড় থেকেই বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপির যুব মোর্চা। কিন্তু মাত্র কিছুটা এগোনোর পরই পুলিশি বাধার সম্মুখে পড়তে হয় মিছিলকে।
একের পর এক গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে মিছিলকে বাধা দেয় পুলিশ। কিন্তু সেসব বাধার তোয়াক্কা করেনি যুব মোর্চা। একে একে ব্যারিকেড ভেঙে ময়ুখ ভবনের সামনে অবধি পৌঁছায় মিছিল। সেখানেই বিজেপির নেতা কর্মীদের প্রতিহত করতে জলকামান চালাতে থাকে পুলিশ। এর মধ্যেও দুটি ব্যারিকেড ভাঙেন সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু এরপরের বাধাগুলি আর পেরোনো সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। ফলে সেখানেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
এদিনের এই মিছিলে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে সরব বিজেপি। তাদের দাবি, বাংলায় গণতন্ত্র পদদলিত। আন্দোলনের অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই মিছিলের উপর জলকামান চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও এই ব্যাপারে বিধাননগর পুলিশ সাফ জানিয়েছে, কোনও রকম অনুমতিই ছিল না মিছিলে। কিন্তু বারণ করা সত্ত্বেও এগোতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। তাই বাধ্য হয়েই জলকামান ছোঁড়ে পুলিশ।
পুরো ঘটনাটিতে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমুল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘বিজেপি তো আগে থেকেই জানত ওখানে জলকামান ছোঁড়া হবে। তাই এই গরমের মধ্যে ইচ্ছা করেই ভিজতে গিয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি বাংলায় অরাকজকতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এখন সুকান্তবাবু দলের মধ্যেই সমালোচিত হচ্ছেন। তাঁর জমানায় শুধু হার আর হার। তাই নিজেকে প্রাসঙ্গিক করতে ১০০ – ১২০ জন লোককে নিয়ে মিছিল করতে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে তো বিজেপি নেতাদের নিরাপত্তারক্ষীরাও ছিলেন।’ বঙ্গ বিজেপি মধ্যে বাড়তে থাকা দ্বন্দ্বের উত্তাপকে যে এদিনের এই জল কামান ঠান্ডা করতে পারেনি তাও বলাই বাহুল্য।